জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন চলছেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল চতুর্থ দিনের অনশনে ৯ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চার দিনের অনশনে অসুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে।

১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির পর ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন পালন করছেন এই শিক্ষকরা। এদিকে জাতীয়করণের দাবিতে আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের ব্যানারে পাঁচটি শিক্ষক সংগঠন এ আন্দোলনে রয়েছে। গত বুধবার থেকে তারাও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করছেন। ইবতেদায়ি শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করতে করতে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জাতীয়করণ ছাড়া আমাদের আর ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই। সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছে। আমরাও তো প্রাথমিক শিক্ষার অন্যতম অংশ। তাহলে আমাদের কেন বাকি রাখা হবে? জাতীয়করণের এক দফা দাবি আদায়ে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি জানান, সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন মেনে নেওয়া না হলে রবিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্বাস না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকার বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্কুল জাতীয়করণ করছে। এতে শিক্ষক অসন্তোষ বাড়ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা গেছে, কন কনে শীতেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঠাণ্ডাজনিত নানা কারণেও ভুগছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষকরা।