ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের এই রায়কে বাংলাদেশের ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি লিখেছেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হিসেবে আমি ও আমার জি এস মুস্তাক হুসেনসহ কয়েকজন ছাত্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাই কোর্টের এই আদেশ। এই রায়কে গোষ্ঠীতন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বিজয়ের প্রথম সোপান বলে আমি মনে করি। প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভোট হয়েছে মাত্র ছয়বার। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে নির্বাচন কেন হয়নি? তবে কি আগামী জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে মেধা ও প্রতিভা বিকাশের পথকে রুদ্ধ করা হয়েছে? গোষ্ঠীতন্ত্র আর কালো টাকার মালিকদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পার্লামেন্ট খ্যাত ডাকসুসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছিল?
সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি দীর্ঘ ২৬-২৭ বছর সৃষ্টিশীল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণতন্ত্র চর্চা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। চাপিয়ে দেওয়া নেতৃত্ব নির্ভর করে তোলার ঘৃণ্য অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দল ও মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়। রাজনীতিবিদরাই দল ও রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখতে সব দল-মতের ঐক্য অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।
