বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুলিশের ওপর হামলায় আসামি এক হাজার

তারা অনুপ্রবেশকারী : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে হাই কোর্টের সামনে পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হামলার ঘটনার পরদিন গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন দাবি করেন। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাই কোর্টের সামনে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজনভ্যান থেকে আটক দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা চার মামলায় দলটির প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা থানায় দুটি ও শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গতকাল  যে ঘটনাটা ঘটেছে হাই কোর্টের সামনে, যা ইতিমধ্যে পত্র-পত্রিকায় সব জায়গায় এসেছে। আমরা নিজেরাই ছেলেদের চিনতে পারছি না! টু বি ভেরি ফ্র্যাংক, আমরা আশঙ্কা করছি, অনুপ্রবেশকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এর পেছনে সরকারের হাত থাকতে পারে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,  স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে দলের সহসম্পাদক অর্পণা রায়,  নিপুণ রায়  চৌধুরী, মুনির  হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণভাবে  যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করছি, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটাকে বিনষ্ট করবার জন্য কাজ করছে। মামলার রায়ের তারিখ সামনে রেখে সরকার সারা দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উসকানি’ দিচ্ছে। আমাদের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের  নেতাদের গ্রেফতার করছে। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ,  যেখানে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি, অথচ গ্রেফতার অভিযান চলছে, সবসময় হুমকি-টুমকি দিচ্ছে। দেশের যে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, সেটা তারা (সরকার) নিজেরাই বিনষ্ট করছে, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। তাকে প্রতিদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। ওষুধগুলো পর্যন্ত সঙ্গে নিতে দেওয়া হয়নি। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকারসহ সিনিয়র নেতাদের বাসায় পুলিশি তল্লাশির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর