শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মনোনয়নপত্র নিলেন আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন মো. আবদুল হামিদ। তাঁর পক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গতকাল সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি দুপুরে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে সেই মনোনয়নপত্র হস্তান্তর করেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি); এই নির্বাচনে শুধু সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেন, ভোটগ্রহণও হয় সংসদে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইসি মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবে ৭ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ১৮ ফেব্রুয়ারি। একাধিক প্রার্থী না থাকলে ভোটগ্রহণ ছাড়াই পুনর্নির্বাচিত হবেন আবদুল হামিদ। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় চিফ হুইপের সঙ্গে ছিলেন হুইপ সহিদুজ্জামান সরকার, ইকবালুর রহিম, মো. শাহাবুদ্দিন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর কাওছার। এ সময় নির্বাচন কর্তার কাছ থেকে তারা তিনটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।  ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার পর একবারই ভোট পর্যন্ত গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। অন্য সব বার ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। জাতীয় নির্বাচনের বছর রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ দলের পরীক্ষিত নেতা আবদুল হামিদের ওপরই ভরসা রেখেছে।  রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দিয়ে নির্বাচন কর্তা ও সিইসি কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়েও নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সিইসি বলেন, আমরা এখনো আশা করি, বিএনপিসহ সব দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি একটি বড় দল, তাদের ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণ হয় কী করে, বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন? আর কোনো প্রার্থী না হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া কি হবে প্রশ্নে সিইসি বলেন, আমরা জানি না প্রার্থী আর হবে কি না? তবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রস্তাবক, সমর্থক এমপি হতে হবে। আর ৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। তবে আর যদি কেউ মনোনয়নপত্র না নেন। সে ক্ষেত্রে ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত বাছাই হবে। আর বাছাইয়ের পরে যদি দেখি একক প্রার্থী, অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নেই। তবে সেদিন যে মনোনয়নপত্র পাব সেটাই আমরা চূড়ান্ত নির্বাচিত বলে ঘোষণা দেব।

সর্বশেষ খবর