রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঋণখেলাপের পেছনে সরকার দায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণখেলাপের পেছনে সরকার দায়ী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘প্রতিবছর শ্রেণিকৃত ঋণ বাড়ছে। এ জন্য শুধু ব্যাংকগুলো নয়, আমাদেরও দায় আছে, সরকারের দায় আছে।’ গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল মকবুল। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, রূপালী ব্যাংকের এমডি মো. আতাউর রহমান প্রধান, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের এমডি মাহতাব জামিন প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে শ্রেণিকৃত ঋণ অত্যন্ত বেশি। যার জন্য কিছুটা আমরাও দায়ী, সরকার দায়ী। আমরা অনেক সময় আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপর খবরদারি করি। সোনালী ব্যাংক যেহেতু সবচেয়ে বড় ব্যাংক, তাই খবরদারিটা সোনালী ব্যাংকের ওপর একটু বেশিই হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খবরদারি কমানোর চেষ্টা করছি। আপনারা (ব্যাংক কর্মকর্তা) যখন কোনো প্রকল্পকে বিশ্লেষণ করে ঋণ প্রদানে অনুপযুক্ত মনে করবেন, সেটাতে আমরা তদবির বন্ধ করার চেষ্টা করব।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রধান কাজ হলো গ্রাহককে চেনা এবং যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন সেটার বিশ্লেষণটা যতদূর সম্ভব ভালো করে করা। পরিকল্পনার প্রকল্পের ওপরই এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে যে তা সার্থক হবে কি না। মুহিত বলেন, বিভিন্ন সূচকে ক্রমান্বয়ে উন্নতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সোনালী ব্যাংক দুই বছরের মধ্যে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাংকে পরিণত হবে। গণমানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংককে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে। বড় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে এর মূলধনের আকার, উৎপাদন ক্ষমতা, সক্ষমতা, অর্থায়ন প্রয়োজনীয়তা, ব্যবস্থাপনা, অতীত পারফরম্যান্সসহ সব দিক বিবেচনায় আনতে হবে।

সর্বশেষ খবর