আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। আদালত তার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেবে। আদালতের রায় নিয়ে আবারও আগুন সন্ত্রাসের উসকানি দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু এই রায়কে ঘিরে কেউ নাশকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকল বোস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। রায়ের আগের দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রায়ের আগে মায়াকান্না করে আদালতকে বিব্রত, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রী রায় লিখে দিয়েছেন- এ ধরনের কথা কি আদালত অবমাননার শামিল নয়? তবে হ্যাঁ, তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে যদি রায় হয় তবে তিনি শেষ পদক্ষেপ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। তিনি দয়াবান মানুষ, ক্ষমা করলেও করতে পারেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য কোন ধরনের ভবিষ্যৎ রেখে যাচ্ছি। কোন ধরনের নোংরা রাজনীতির প্র্যাকটিস বিএনপি করছে। পৃথিবীতে আগে কখনো এমন হয়নি। এ ধরনের সংস্কৃতি অনুসরণ করা হলে ফলাফল ভালো হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যখন বলেন-সেনাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসন তাদের পক্ষে আছে, তবে কেন বিএনপি ভয় পায়? অভয় দিয়ে তাহলে এত কেন ভয়? তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটা খুব খারাপ নজির। আদালতের রায় কোনো ব্যক্তি নয়, অপরাধের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিএনপি বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। খালেদা জিয়া মায়াকান্না করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়া আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তারা উসকানি দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো পাল্টাপাল্টি কোনো অবস্থানে যাইনি। এটা তো দুর্নীতির বিষয়। এ নিয়ে রাজপথে কী করার আছে? তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে আমাদের সমস্যা কী? খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এত হতাশ হওয়ার কী আছে, এই রায়ের পর, আপিল করার ব্যাপার আছে তা না হলে রাষ্ট্রপতি আছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি তো উদার, তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি মাফ করে দিতে পারেন। আমি মনে করি তিনি মাফ করে  দেবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিলেট সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মাজার জিয়ারতের নামে গিয়েছিলেন শোডাউন করতে। মনে করেছিলেন, জনগণের ঢল নামবে, কিন্তু নামেনি। তাই তিনি হতাশ হয়ে রাতেই ফিরে এসেছেন।