বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর পরিকল্পনা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর পরিকল্পনা নেই

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন যে কারাগারে আছেন, সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাকে  যেখানে রাখা হয়েছে সেটা নতুন বিল্ডিং। এটা বাচ্চাদের ডে কেয়ার ছিল। ওই কারাগারে যতগুলো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় তার সবই দেওয়া হচ্ছে। এখানে অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা অস্বাস্থ্যকর কিছুই নেই। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে কথা বলতে আমি মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে চুক্তি ছাড়াও ১০টি বিষয়ে কথা হয়েছিল। সে আলোচনা এখনো চলছে। বর্তমানে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় রয়েছেন।’ রোহিঙ্গা আসার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে তো হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা আসত। এখন অনেক কমেছে। এটা জিরোতে চলে আসবে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে, যোগ করেন তিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছি। এ বিষয়ে সবাই কাজ করছে। আশা করছি মূল হোতারা অচিরেই ধরা পড়বে।’ এর আগে, কোস্টগার্ডের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোস্টগার্ড মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছেছে। নদী ও সমুদ্রপথে তাদের নজরদারি অনেক বেড়েছে। একসময় চট্টগ্রাম বন্দরকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হলেও কোস্টগার্ডের কারণে এখন ঝুঁকিমুক্ত। কোস্টগার্ডের তৎপরতায় পানিপথে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। কোস্টগার্ডকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কাজ চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের যে ব্লু-ইকোনমি পরিকল্পনা রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালে কোস্টগার্ড ২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অবৈধ পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। অনুষ্ঠানে ষষ্ঠবারের মতো কোস্টগার্ড উন্নয়ন ও অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২২ জন কর্মকর্তা, ১৬ জন নাবিক ও ২ জন অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী— মোট ৪০ জনকে কোস্টগার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক প্রদান করা হয়। বর্তমানে এ বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৮৬৫। প্রসঙ্গত, ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৯৯৫ সালে কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর