সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ইংরেজি মাধ্যমে এ-লেভেল, ও-লেভেল, টোফেল মিলিয়ে প্রায় ৫০টির মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। অথচ ঘুণাক্ষরেও কখনো প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে না। আর বাংলা মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়। আমি তো নকলকে দাফন-কাফন করে এসেছিলাম। তাহলে কারা আবার ইউরিয়া-পটাশ দিয়ে এই বিষকে তরতাজা করছে তা দেখা দরকার।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল সারা বিশ্বে এক প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে তা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর আমাদের ৬৪টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ নেই। ওরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের দেশে প্রযুক্তির অপব্যবহারে ছড়াচ্ছে প্রশ্ন। এর একটাই কারণ, সরকারের সদিচ্ছার অভাব।’ সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। তাহলে ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে কারা ছিল তা খুঁজে বের করলেই তো সমাধান পাওয়া যায়। দেশে প্রশ্নের ছড়াছড়ি, বিকিকিনি চলছে। ওদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পুরস্কৃত হচ্ছেন। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে, আর তিনি পাচ্ছেন অ্যাওয়ার্ড। শুধু শিক্ষকদের দোষ দিলে হবে না। প্রশ্ন বণ্টন-বিতরণে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা থাকেন। সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এই লাগাতার প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা যাবে না।