সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুর্নীতির নেপথ্যে আমরা সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির নেপথ্যে আমরা সবাই

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি হচ্ছে, আমরা প্রতিরোধ করতে পারছি না—এ মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)  চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির  নেপথ্যে আমরা সবাই। যথাযথভাবে প্রতিরোধ করা না গেলে, আমরাও এর অংশে পরিণত হব। গতকাল দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণা সূচক প্রকাশ নিয়ে এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় দেখে না। কমিশন কারও প্রতি অতি উৎসাহ বা অতি উদাসীনতা দেখায় না। দুর্নীতির মামলা হয় অনুসন্ধানের ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি পরিচয়  কোনো বিষয় নয়। কমিশনের কার্যাক্রমে কোনো রাজনৈতিকে ইস্যুকে বিবেচনা করা হয় না। এ ছাড়া দুর্নীতি দমনে দুদকও পারছে না, ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণও হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা সবাই দায়ী। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যম, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের সাহায্য দরকার। জনগণকে যদি সচেতন করা না যায়, তাহলে আমার মনে হয় যে গতিতে দুর্নীতি চলছে, সে গতিতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। এটি একটি সমস্যা। তিনি বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচক আন্তর্জাতিকভাবে যেভাবে বের হয়েছে,  সেখানে কোনো কোনো দেশে মাত্র এক পয়েন্ট কমেছে। দুই পয়েন্ট সম্ভবত ১০-১২টি দেশ। দুই পয়েন্ট কমানো এত সহজ বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি আত্মতুষ্টির  কোনো সুযোগ নেই। দুদক চেয়ারম্যান বড় বড় দুর্নীতিবাজ আইনের আওতায় আসছে বলে টিআইবির এক পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বলেন, আমি এটার সঙ্গে  মোটেই একমত নই। বড় দুর্নীতিবাজ আর ছোট দুর্নীতিবাজের মধ্যে পার্থক্য নেই। দুর্নীতিবাজ সবসময়ই দুর্নীতিবাজ। বড় ছোট করা সমীচীন নয়। যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় ছোট করে বিভাজন করলে দুর্নীতি কমবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৩৭ শতাংশ সাজার হার বেড়ে কীভাবে ৭৪ শতাংশ হলো। তিনি বলেন, এ কথা সঠিক যে গতিতে বা যতটুকু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার ছিল সেটুকু পারছি না। তবে এটা বুঝতে হবে এটা সহজ বিষয় নয়। এর জন্য জনসাধারণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, অর্থ পাচার হচ্ছে, এটা সত্য। তবে এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের সব জায়গায় অর্থ পাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান সংক্রান্ত আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ মানিলন্ডারিং আইনে দুদক কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। বেসরকারি পর্যায়ে তদন্ত করবে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইইউ বা সিআইডি।

সর্বশেষ খবর