শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : নসরুল হামিদ

জ্বালানির বড় বাজারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ

বিক্রি হবে বিদ্যুৎ, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধে বড় অ্যাকশন

জ্বালানির বড় বাজারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আমদানিকৃত এলএনজি পাইপলাইনে যাচ্ছে। এলএনজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হলেও গ্রাহক পর্যায়ে এর মূল্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, আশার খবর হচ্ছে, দেশের জ্বালানি খাত বিশ্বের বড় বাজারগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। যে বাংলাদেশ এখন অন্য দেশের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে চাহিদা মেটাচ্ছে সে বাংলাদেশই আগামীতে বিদ্যুৎ বিক্রি করার চিন্তাভাবনা করছে। নসরুল হামিদ বলেন, আসছে জাতীয় নির্বাচনের আগে শিল্পে ব্যবহূত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আবাসিকে সেই আশঙ্কা নেই। এবার গ্রীষ্মে অতিরিক্ত ১৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের খুব একটা ভোগান্তি হবে না। অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে আগামী তিন মাসের মধ্যে বড় ধরনের ‘অ্যাকশনে’ যাচ্ছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। বারিধারার বাসভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন—জিন্নাতুন নূর     বাংলাদেশ প্রতিদিন : বাংলাদেশে নতুন জ্বালানি, এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহার শুরু হচ্ছে কবে?

নসরুল হামিদ : এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আমদানিকৃত এলএনজি পাইপলাইনে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট করবেন। আমরা এখন সেই অপেক্ষায় আছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আমদানিকৃত এলএনজির মূল্য কেমন পড়বে? গ্রাহক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য এর মূল্য চূড়ান্ত হয়েছে কিনা।

নসরুল হামিদ : আমরা আট হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ এলএনজি আমদানি করতে যাচ্ছি। আর উদ্ধৃত যে গ্যাস আমাদের থাকবে তা বাংলাদেশকে বিক্রি করতে হবে। তবে আমদানিকৃত এলএনজির মূল্য নির্ধারণসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় চূড়ান্ত করতে সরকার গ্যাস খাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গত এক বছর ধরে হিসাব-নিকাশ ও পর্যালোচনা করছে। খুব শিগগিরই এর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হলেও মূল্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এলএনজি জ্বালানি খাতে কতটা প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন?

নসরুল হামিদ : বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে মিশ্র জ্বালানি অর্থাৎ তেল-গ্যাস উভয়ই ব্যবহার করছি। কিন্তু পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেলের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল থেকে আমরা গ্যাসে যাব। তবে আমদানিকৃত এলএনজির মূল্য প্রাকৃতিক গ্যাসের চেয়ে বেশি হলে যে কেন্দ্রগুলো গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে তাদের উৎপাদন ব্যয়ে কিছুটা প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে যেসব ব্যবসায়ী কারখানায় বয়লার ব্যবহার করেন তাদের খরচ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এটি সহনীয় পর্যায়েই থাকবে। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে যে, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পেলে তাদের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যবসায় লাভের পরিমাণও বাড়বে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় তাদের এখন যে ক্ষতি হচ্ছে তাও তারা এলএনজি এলে পুষিয়ে নিতে পারবেন। পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চান। কিন্তু তাদের সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এ কথাও সত্য যে, জ্বালানি ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণেই পোশাক খাতের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না কেন?

নসরুল হামিদ : অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে গত চার বছর চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু বিষয়টি বেশ ঝামেলাপূর্ণ। কিছু এলাকায় কারখানার গ্যাস সংযোগের লাইন ফুটো করে অনেকে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্যাস সংযোগ প্রদানকারী সংস্থার লোকজনও অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত। কিন্তু এই অবৈধ কার্যক্রমের পুরোটাই আমরা বন্ধ করব। এ জন্য আগামী তিন মাসে বড় ধরনের অ্যাকশনে যাচ্ছি। অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য আমরা বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছি। এই ক্ষতি বহন করা সম্ভব নয়। দুর্নীতি বন্ধে তিতাসে নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তিতাসের জনবলেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এবার গ্রীষ্মের লোডশেডিং মোকাবিলায় বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তুতি কেমন? বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক অবস্থা কী?

নসরুল হামিদ : এবার গ্রীষ্মে লোডশেডিং নিয়ে আমি চিন্তিত নই। গ্রীষ্মে এবার ১৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আশা করছি লোডশেডিং বেশি হবে না। এ ছাড়া চলতি বছরে আমরা তিন হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যাচ্ছি। বিগত বছর এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৯০০ মেগাওয়াট। আর প্রতি মাসে এখন সাড়ে তিন লাখ গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে অর্থনীতির গতি বাড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২০-২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হলে আমাদের ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকতে হবে। আর এ সময়ের মধ্যে পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও পর্যায়ক্রমে বন্ধ হতে শুরু করবে। আশা করছি, বিশ্বব্যাংক এবং জি টু জি এর বড় প্রকল্পগুলো এবং পায়রা ও মাতারবাড়ীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে নির্মাণাধীন বেসরকারি কিছু বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র সময়মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তাদের ‘পেনালটি’ দিতে হবে। সিঙ্গাপুর ও চায়নায় বিদ্যুতের দাম কম। কিন্তু বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য মানুষের আয় সীমিত বলে এ কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহারে তারা যে মূল্য পরিশোধ করছেন তাদের কাছে সেটি বেশি মনে হচ্ছে। পল্লীবিদ্যুতের মোট দুই কোটি গ্রাহকের অধিকাংশের আয় সীমিত। কিন্তু দেশের মানুষের গড় আয় বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুতের মূল্যও সহনীয় মনে হবে। এর বাইরে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে বিদ্যুতের যে টাওয়ার গেছে তা নদীর নিচ দিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : জাতীয় নির্বাচনের আগে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে কিনা?

নসরুল হামিদ : আগে গ্রাহক নামমাত্র মূল্যে গ্যাস ব্যবহার করত কিন্তু এখন তারা নতুন যে গ্যাস ব্যবহার করবেন তার দাম আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হবে। তবে আসছে নির্বাচনের আগে বাসাবাড়ির গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না পেলেও শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। আবাসিকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম। আবাসিকে মোট গ্যাস ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ লাখ। কিন্তু শিল্প খাতে ব্যবহারকারী বেশি। আর গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি নির্ধারণ করবে এনার্জি রেগুলেটরি বডি। ইতিমধ্যে দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবনা আমাদের জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে সরকারের বর্তমান চিন্তাভাবনা কী?

নসরুল হামিদ : কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা বাংলাদেশের জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থের বিনিয়োগ মিলছে না। এ জন্য কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের আগে যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা কমিয়ে ১০ হাজার মেগাওয়াটে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়লা দিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা ছিল তা এলএনজির মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : জ্বালানির বাজারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন দেখছেন?

নসরুল হামিদ : আশার খবর হচ্ছে, বাংলাদেশের জ্বালানি বাজার বড় বাজারগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ খাতের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের জন্য সরকার প্রচারণাও চালাচ্ছে। চলতি বছর জ্বালানি খাত আরও বড় আকার ধারণ করবে। এ বছর নতুন করে আরও তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে এবং উদ্ধৃত বিদ্যুৎ বিক্রি করার চিন্তাভাবনা চলছে। সরকার রিজার্ভে থাকা বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহার করতে চায়। বাংলাদেশের জ্বালানি খাত অন্যরকম হতে যাচ্ছে। এই খাতের উন্নয়নে সিদ্ধান্ত আর বছরভিত্তিক নয়, প্রতি মাসেই নিতে হবে।  জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে আর হয়তো সাত-আট বছর সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরকার কিছু ভাবছে কী?

নসরুল হামিদ : তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে প্রস্তাব জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে এসেছে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি  পেলে আমরা দাম সমন্বয় করব। তবে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রেগুলেটরি বডি কীভাবে নেবে সেটি বিবেচনার বিষয়। আমি মনে করি, তেলের দাম জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতায় না রেখে তা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আওতায় নিয়ে যাওয়া উচিত। বর্তমানে প্রতিদিন বিপিসির ক্ষতি হচ্ছে ১৩ কোটি আর গত মাসে প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : থ্রি-হুইলারের জন্য ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাই।

নসরুল হামিদ : সরকারও থ্রি-হুইলারের জন্য ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। এই স্টেশনে বিদ্যুৎ যাবে জাতীয় গ্রিড থেকে। থ্রি-হুইলারের বাণিজ্যিক ব্যবহার এর মাধ্যমে বৈধ হবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা ১০০টি ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন তৈরি করতে যাচ্ছি। এর বাইরে আমি মনে করি ভবিষ্যতে যানবাহনে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তেল থেকে সরে আসা উচিত। গাড়ি মালিকদের ইলেকট্রিক কার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হলে তা ইতিবাচক হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : নির্বাচনের আগে দেশের শতভাগ এলাকার বিদ্যুতায়ন সম্ভব কিনা?

নসরুল হামিদ : সরকার নির্বাচনের আগে দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে কাজ করলেও কিছু অঞ্চলে যেমন-চরাঞ্চল, পার্বত্য এলাকায় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে। তবে বিকল্প পথে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য আমরা কাজ করছি। এ জন্য ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় লাইন টানতে হয়। এই কাজও বেশ কঠিন। সন্দ্বীপে সাবমেরিন দিয়ে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ‘অফ গ্রিড’ এলাকা হাতিয়ায় বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনপুরায় ‘সূর্যগ্রাম’ নামক প্রকল্প দিয়ে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকল্প নেওয়া হবে। সমস্যা হচ্ছে চর এলাকায় সোলারে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০ থেকে ২৫ টাকা খরচ হয়। যা ব্যয়বহুল। তবে বিদ্যুতায়ন করা হলে চরের মানুষ উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা কী?

নসরুল হামিদ : আধুনিক প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। এ জন্য এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা সফটওয়্যার উন্নয়ন কার্যক্রমে যাব। গ্রাহকদের দ্রুত ‘পেপারলেস’ সেবার আওতায় নিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার দরকার। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু পাইলট প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই গ্রাহক সুবিধা মতো তাদের মোবাইল ফোন ও অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করুক।

সর্বশেষ খবর