শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
জয়ের জবানবন্দিতে হত্যাচেষ্টা

শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

আদালত প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্র মামলায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজ ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ওই অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ মামলায় জয় তার সাক্ষীর জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘রিজভী আহমেদ সিজার নামে একজন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এফবিআইর এজেন্টের কাছ থেকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় এফবিআই সিজারসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। আমি ওই মামলায় কোর্টে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি। পরে আসামিদের সাজা হওয়ার কথা আমি জানতে পারি। আসামি রিজভী আহমেদ সিজার বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আমাকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার জন্য আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এ কারণে এফবিআইর এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে এককালীন ৪০ হাজার ডলার ও মাসিক ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে চুক্তি করে। এ কাজে তাকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান ও বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করেছে। অমার সঙ্গে একবার এফবিআইর এজেন্টরা দেখা করে এবং আমার বাসায় সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দেয়। আমার তখনকার বাসাটি অনেকে চিনে যাওয়ার কারণে, নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আমার বাসা অন্যত্র পরিবর্তন করি।’ অভিযোগপত্রের পাঁচ আসামি হলেন— দৈনিক যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন (পলাতক), তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার (পলাতক) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (পলাতক)। মামলাসূত্রে জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের নির্দেশদাতা হিসেবে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আর আসামি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে পরামর্শদাতা হিসেবে ওই ষড়যন্ত্রে সহযোগিতার অভিযোগ। এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর