মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিমানটি কাঁপছিল, তারপরই আগুন

রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার ইউএস বাংলার বিমানটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই কাঁপছিল এবং তারপর এতে আগুন ধরে যায়। এমন তথ্য দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি ছাত্র আশীষ কুমার সরকার। যার ওই বিমানের ফিরতি ফ্লাইটেই বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ আশীষ দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিবিসি বাংলাকে তার বর্ণনা দেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘বিমানটি রানওয়েতে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শী এই ছাত্র জানান, তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশে ফেরার জন্য। ইউএস বাংলার এই বিমানে করেই তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। আশীষ বলেন, ‘আমার চোখের সামনেই সবকিছু হলো। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আমি মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ছবি তুলছিলাম। আমি দেখলাম ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি কাঁপছিল। মনে হচ্ছিল, ওটা মনে হয় ঠিকমতো ল্যান্ড করতে পারছিল না। তারপর দেখলাম হঠাৎ করে বিমানে আগুন ধরে গেছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটল। কিন্তু শুরুতে কেউই যেন বুঝতে পারছিল না, আসলে কী হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সে সময় যেসব বিমান অবতরণ করার জন্য রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছিল এরকম কয়েকটা বিমানকে তিনি অবতরণ করতে দেখেছেন। কিন্তু এর কয়েক মিনিট পর থেকে তিনি আর কোনো বিমানকে উড়তে বা নামতে দেখেননি। আশীষ আরও জানান, দুর্ঘটনার পরও তিনি কোনো উদ্ধার তৎপরতা দেখতে পাননি। আশীষ নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার তিন ঘণ্টা পর বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, ইউএস বাংলার কোনো কর্মকর্তা তখনো পর্যন্ত অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাদের কাউন্টারও বন্ধ ছিল।

সর্বশেষ খবর