সঞ্জয় পাউডেল, সানজিয়া মহার্জন, নিগা মহার্জন, আনজিনা শ্রেষ্ঠা, পূর্ণিমা লোহানী, শ্বেতা তাপা, মিলি মহার্জন, সারুনা শ্রেষ্ঠা, আনজিনা বাড়াল, চারু বাড়াল, আসমা শেফায়া, প্রিন্সিধামী ও সামিরা তারা সবাই নেপালের নাগরিক। তারা সিলেটে এসেছিলেন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। পড়াশোনা করতেন সিলেটের জালালাবাদ রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ১০ মার্চ তাদের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষার পর তারা ছুটি কাটাতে রওয়ানা দিয়েছিলেন নিজেদের দেশ নেপালের পথে। কাঠমাণ্ডুতে বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সিলেট থেকে যাওয়া এই ১৩ জন দূর্ঘটনাকবলিত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে ছুটি কাটিয়ে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার কথা ছিল তাদের। কথা ছিল নিজেদের নিয়োজিত করবেন মানবসেবায়। কিন্তু সে স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। তার আগেই নির্মম নিয়তি কেড়ে নিয়েছে তরতাজা ১৩ হবু চিকিৎসককে- এমনটিই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিলেটের বেসরকারি মেডিকেলটির উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু ও কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবেদ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পেরেছি আমাদের কলেজের ১৩ শিক্ষার্থীই দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের যাত্রী ছিলেন। তন্মধ্যে ৪ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের পারিবারিক সূত্রে। অন্য ৯ জনের এখনো খোঁজ মিলছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে যে তথ্য পাওয়া যায় সেটি থেকে ধারণা করা হচ্ছে- তাদের কেউই বেঁচে নেই।’ অধ্যক্ষ আবেদ হোসেন জানান, রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নিহত সবাই ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে এবং ২ জন ছেলে। গত ১০ মার্চ ইয়ারলি ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে গতকাল ইউএস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তারা সবাই নেপালে তাদের নিজ দেশে বেড়াতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। এদিকে নিজেদের কলেজের ১৩ জন শিক্ষার্থী দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার সংবাদে ও ৪ জনের মৃত্যুতে জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘোষণা করা হয়েছে তিন দিনের কর্মসূচি। যা আজ থেকে শুরু হবে।
