বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাইলট আবিদ মারা গেছেন

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটির প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতান মারা গেছেন। ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল সকালে কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদের মৃত্যু হয়। আবিদ সুলতান ঢাকার উত্তরা পশ্চিমের ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের ৩৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয়তলায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর রানীনগরে। শ্বশুরবাড়ি নাটোরে। আবিদের স্ত্রী আফসানা খানম টপি সাংবাদিকদের বলেন, অসময়ে এভাবে আবিদের চলে যাওয়া অপূরণীয়। কোনো কিছুতে তা আর পূরণ হওয়ার নয়। কিছু বলার ভাষা নেই। শুধু দোয়া করবেন ও যেন জান্নাতবাসী হয়।

বিমান বিধ্বন্ত হওয়ার পর বহু মানুষের নিহতের খবর পাওয়া গেলেও বেঁচে ছিলেন আবিদ। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরবেন এমন আশায় ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গতকাল তার মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। আবিদের ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া ছেলে তানজিব বিন সুলতানের গলা জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন টপি। তিনি বলেন, ও খুব ইনোসেন্ট এবং দক্ষ। ওর মতো মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ে যাবে ভাবনাতীত। জানা গেছে, আবিদ সুলতানের বাবা এম এ কাশেমও পাইলট ছিলেন। আবিদরা পাঁচ ভাই। খুরশিদ মাহমুদ, সুলতান মাহমুদ, সেলিম মাহমুদ, আমির মাহমুদ সবাই প্রতিষ্ঠিত।

আবিদের ভাই ডা. খুরশিদ মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একমাত্র সন্তান তানজিব বিন সুলতান মাহি এবার ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দেবে। আবিদ এক্সট্রা অর্ডিনারি ছেলে। এমন দুর্ঘটনা মানতে পারছি না। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি। এটা নিয়ে যেন টকশোতে নেতিবাচক কোনো কথা না হয়। আবিদসহ নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। এদিকে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের লাশ বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর