বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

৩৮ আসনে সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব বহাল ২৬২ আসনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৬ জেলার ৩৮টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করে পুনর্বিন্যস্ত নির্বাচনী এলাকার খসড়া করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া ২৬২টি আসনে দশম সংসদের সীমানা বহাল রাখা হয়েছে। ৩৮টি আসনে উপজেলার অখণ্ডতা, প্রশাসনিক এলাকা যোগ ও বিলুপ্ত ছিটমহল যোগ করা হয়েছে। এদিকে কমিশনের সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দশম সংসদের সীমানা বহাল রাখার দাবি করে। কিন্তু বিএনপি ২০০৮ সালের আগেই সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি করে আসছিল। অন্যদিকে ঢাকার পাঁচটি, নারায়ণগঞ্জের দুটি, নীলফামারীর দুটি, রংপুরের তিনটি, কুড়িগ্রামের দুটি, পাবনার দুটি, মাগুরার দুটি, খুলনার দুটি, সাতক্ষীরার দুটি, জামালপুরের দুটি, শরীয়তপুরের দুটি, মৌলভীবাজারের দুটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি, কুমিল্লার চারটি, নোয়াখালীর দুটি এবং চট্টগ্রামের দুটি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতকাল কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

প্রস্তাবিত পুনর্গঠিত নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে, নীলফামারী ৩ ও ৪, রংপুর ১, ৩ ও ৪, কুড়িগ্রাম ৩ ও ৪, পাবনা ১ ও ২, মাগুরা ১ ও ২, খুলনা ৩ ও ৪, সাতক্ষীরা ৩ ও ৪, জামালপুর ৪ ও ৫, ঢাকা ২, ৩, ৭, ১৪ ও ১৯, নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫, শরীয়তপুর ২ ও ৩, মৌলভীবাজার ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ও ৬, কুমিল্লা ১, ২, ৬ ও ১০, নোয়াখালী ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ আসন। সচিব জানান, ১৬টি জেলার ৩৮টি সংসদীয় আসনের পুনর্গঠিত এলাকার খসড়া করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনো দাবি আপত্তি থাকলে ১ এপ্রিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। কমিশন দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বলে উল্লেখ করেন সচিব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পরদিনই প্রস্তাবিত পুনর্গঠিত এলাকার খসড়া প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ২১তম কমিশন সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি প্রতিবেদন বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল। এ ছাড়া ১৯ মার্চ কমিশনের ২২তম সভার এজেন্ডাও ছিল একই। কিন্তু খুব দ্রুততার সঙ্গে গতকাল খসড়া প্রকাশ করে দিয়েছে ইসি। গেল বছর ১৬ জুলাই ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি সাংবিধানিক সংস্থাটি। পরিকল্পনার আড়াই মাস পর খসড়া প্রকাশ করল ইসি। রোডম্যাপে সিইসি বলেছিলেন, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নতুন আইন করার পরিকল্পনাও ছিল তাদের। সবার সঙ্গে আলোচনা করেও নতুন আইন প্রণীত হয়নি। সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছিল ইসি। কিন্তু এখন ছোটখাটো পরিবর্তন করেই খসড়া করে দিল নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

সর্বশেষ খবর