বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোনো দলকে ছাড় দেওয়া যাবে না

গোলাম রাব্বানী

কোনো দলকে ছাড় দেওয়া যাবে না

এম সাখাওয়াত হোসেন

আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর মনিটরিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)। তিনি বলেন, নির্বাচনী নিয়মকানুন প্রতিপালনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলকেই ছাড় দেওয়া যাবে না। আচরণবিধি থেকে শুরু করে সব কিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সব দিকেই নজর রাখতে হবে কমিশনকে। যাতে কেউ কোনো অপকর্ম করতে না পারে। আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ নির্বাচনের আগে সিটির ভোট সুষ্ঠু করার বিষয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। উল্লেখ্য, দুই ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাপে ভোট হবে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে। এ জন্য আগামী ৩১ মার্চ তফসিল ঘোষণা হবে এই দুই সিটির। আর দ্বিতীয় ধাপে ঈদুল ফিতরের পরে ভোট হবে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটিতে। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিটির ভোটের বিষয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ আইন বহির্ভূত কিছু করতে চাইলে প্রয়োজনে তাত্ক্ষণিকভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। সাবেক এই কমিশনার বলেন, ইসির মনিটরিংয়ের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। রাতের বেলায় যদিও কেউ বলে ভোট চুরি হচ্ছে, আর ইসি যদি তখন বলে দেখছি, দেখব, তা হলে হবে না। তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচনী পরিবেশ বোঝা যাবে বলেও তিনি জানান। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে। আর নির্বাচন এলেই বোঝা যাবে কী অবস্থা হয়। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আরচণবিধি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে কোনো দলকেই ছাড় না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশন।

পাঁচ সিটির ভোটের সময়সীমা : গাজীপুর সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।

গত ৮ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে এ সিটিতে।

খুলনা সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। ১২ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, সিলেটের ৮ অক্টোবর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।

সর্বশেষ খবর