বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

আলোচনায় খালেদার মুক্তি ও নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা। গতকাল বিকাল সোয়া ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার এ বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ও জামিনের বিষয়টি ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সিনিয়র নেতারা। বেগম খালেদা জিয়াকে কীভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে কীভাবে দলের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সেসব বিষয় তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবেও কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্যভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং এতে জাকির হোসেন মিলনের মতো অনেককে হত্যা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, যে  দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পুরোপুরি অর্থহীন। এটি জনগণের কোনো কাজে আসবে না। তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। অথচ তকমা লাগানো হয়েছে উন্নয়নশীল দেশের। আসলে উন্নয়নশীল দেশের এ তকমা অর্থহীন। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া কখনো সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বৈঠকে সুইজারল্যান্ড, স্পেন, সৌদি আরব ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক সচিব, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান ও নেদারল্যান্ডসের উপরাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি চিফ এবং ইউএসএআইডির কান্ট্রি ম্যানেজারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে সরকারি খরচে জনসভা করছেন, নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। আর আমাদের কোথাও সভা-সমাবেশ তো দূরের কথা, রাস্তায় দাঁড়াতেও দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে জনসভা করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচনী বিধি-পরিপন্থী কাজ করছেন।’

মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত খরচে দলীয় প্রধান হিসেবে ভোট চাইতে পারেন। তবে বিরোধী দলগুলোকেও সমান সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু সেটি না করে একজনকে জেলে আটকে রেখেছে, আরেকজন সরকারি খরচে ভোটের অঙ্গীকার আদায় করছেন মানুষের কাছ থেকে। অথচ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর