বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

উন্নয়নশীলের চ্যালেঞ্জগুলোই সম্ভাবনা

মানিক মুনতাসির

উন্নয়নশীলের চ্যালেঞ্জগুলোই সম্ভাবনা

ড. এবি মির্জ্জা আজিজ

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশের যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ এসে দাঁড়িয়েছে সেগুলোকে মূলত আমাদের জন্য সম্ভাবনা বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো করবে। এজন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের  পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দেশ বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত আর নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। চলমান যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সম্পন্ন হবে। তবে ২০২৪ থেকে ২০২৭-এ আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। সে সময় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বাড়ানো, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি নজর দিতে হবে। কেননা ২০২৭ সালের পর নমনীয় ঋণগুলো কমে আসবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। ফলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দায়টা বেড়ে যাবে। যার প্রভাব সার্বিক অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও পড়বে। ফলে এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে প্রত্যাশার দিক হচ্ছে আমরা আমেরিকার বাজারে তেমন কোনো ডিউটি বা কোটা ফ্রি সুবিধা পাই না। অথচ আমেরিকা আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে একক বাজার হিসেবে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে ইউরোপের বাজারের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। কিন্তু সেগুলোকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। তাঁর মতে, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। কিন্তু উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আর্থিক খাতসহ প্রতিটি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরও মনোযোগী হতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমাতে হবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের বাধাসমূহ দূর করে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর