সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে নিজের দেশ, সমাজের প্রতি ভালোবাসা সঞ্চারিত করা না গেলে সব কিছু ব্যর্থ হবে বলে সতর্ক করেছেন সংস্কৃতিকর্মী সনজীদা খাতুন। বিডি নিউজ। সংস্কৃতিচর্চার প্রচলিত রীতিতে অসন্তুষ্ট ছায়ানট সভাপতি; গ্রামের মানুষের কাছে না গিয়ে শুধু মৌসুমভিত্তিক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে কাজ হবে না বলে মনে করেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। বাংলা নববর্ষ বরণের গতকাল ছায়ানটে প্রাক-প্রস্তুতি পর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সনজীদা খাতুন বলেন, সংস্কৃতি যত ছড়াবে মানুষের মন তত আনন্দিত হবে। সংস্কৃতির সঙ্গে সৌন্দর্যের একটি যোগসূত্র রয়েছে। আমরা যদি সেটাকে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে মানুষ হত্যা, জঙ্গিবাদ, অন্যায় ও প্রতারণা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।’ পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় জাগরণ গড়ে তুলতে ষাটের দশকে যে সংস্কৃতিকর্মীরা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট গড়ে তুলেছিলেন তাদেরই একজন সনজীদা খাতুন। ওই ছায়ানটের উদ্যোগেই ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে হয় প্রথম বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেকটা অবহিত নয়। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরা দরকার। তারা যদি এটা না জানে তাহলে তারা দেশের জন্য ভালোবাসা অনুভব করবে না।’
ধারাবাহিক কার্যক্রম ছাড়া শুধু ঘটা করে সাংস্কৃতিক উৎসব-অনুষ্ঠান আয়োজন করলেই মানুষকে সংস্কৃতিবান করা যাবে না বলে মনে করেন সনজীদা খাতুন।
বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা তুলে ধরে সনজীদা খাতুন বলেন, ‘আমরা গ্রামের দিকে একেবারে যেতে পারিনি। এটা যে আমাদের কত বড় ভুল! এটার সংশোধনের কোনো পথও আমরা দেখিনি।’