শিরোনাম
সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট

—সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাক-স্বাধীনতার হরণ নয়, ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধ করবে। বাক-স্বাধীনতার নামে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী নির্যাতন উসকে দেয় তাদের রুখবে এ আইন।

গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে জয় বলেন, কতটা সময় লাগবে এ আইন পাস হতে। দ্রুত চেষ্টা করেন। সংসদ সদস্যরা জানান, ‘কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে।’

তরুণদের সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের আসক্তি ক্রমেই বিপদের হয়ে উঠছে। তাদের ইন্টারনেট আসক্তি দেখে এখন আমাকে বলতে হয়, ফেসবুক এখন একটি ফেইকবুক। বাংলাদেশে বসে গোটা ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যদি এ মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিই, তখন সবাই আমাদের তীব্র সমালোচনা করবে। একটা ওয়েবসাইট বন্ধ করব, আরও ১০টি ওয়েবসাইট ১০ মিনিটে তৈরি হয়ে যাবে। ইন্টারনেটে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য যা সমাজে সংঘাত ডেকে আনে, তাকে কোনোভাবেই বাক-স্বাধীনতা বলা যাবে না।

কোটা বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, কোটা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ৩-৪ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আইসিটিতে রয়েছে লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। সরকারি চাকরিতে এত সুযোগ নেই। তাই সরকারি চাকরির আশায় বসে না থেকে এবং ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বিজনেস প্রসেস আউট সোর্সিং (বিপিও) করে বাংলাদেশে ৪০ হাজার তরুণ এখন স্বাবলম্বী। শিক্ষিত তরুণদের এই পেশায় আগ্রহ তৈরি করতে এবং তাদের পরামর্শ দিতে দুই দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮’। এ কর্মশালায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৮০ জন বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন।

সর্বশেষ খবর