বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশি শিল্প সুরক্ষায় করপোরেট কর হার কমানো হবে

এনবিআর চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় উদ্যোক্তাদের কর্পোরেট করহার কমানো হবে। স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে কর্পোরেট করহার কমানো ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার চিন্তা এনবিআরের রয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে কর্পোরেট কর বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে আমদানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবারের বাজেটে হয়তো এতটা ছাড় দেওয়া যাবে না। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এই সভায় দেশের তথ্য, প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স খাতের ব্যবসায়ীরা তাদের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ওই মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলছেন কর কর্পোরেট কমালে রাজস্ব কমে যাবে। তবে আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিকাশে আমরা কর্পোরেট কর কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক। এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে, অনেকেই শিল্প স্থাপনের দিকে আসতে চাইছেন। আমরাও চাই দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটুক। সেক্ষেত্রে রাজস্ব ছাড় দিয়ে হলেও, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, আমরা চাই দেশীয় শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যেন রপ্তানিও করতে পারে। কারণ, দেশে যে বেকার সমস্যা আছে, তারও সমাধান দরকার। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি-জিডিপির আকার বাড়ছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আয় কমলে হবে না। প্রতি বছর দেশের রাজস্ব আয় ১২ থেকে ১৬ শতাংশ বাড়ছে। এবার আশা করছি— আরও বেশি বাড়বে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা একটু কমানো হতে পারে। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে সমালোচকদের ইঙ্গিত করে বলেন, অনেক ইন্টালেকচ্যুয়াল (বুদ্ধিজীবী) বলেন— আমাদের রাজস্ব ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। এ কথাটা ঠিক না। অর্থ বছরের আরও তিন মাস সময় বাকি আছে। এই সময়ে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। এর আগে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করে তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা— ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, আসছে বাজেটে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি সেবার ওপর আরোপিত সাড়ে ৪ শতাংশ উৎসে কর সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হোক। এদিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি বলছে কম্পিউটার পণ্যসামগ্রী খুচরা ও সরবরাহ ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হোক। অপরদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) বলছে ইন্টারনেট মডেম, ইথারনেট ইন্টারফেসকার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সব ইন্টারনেট উপকরণের ওপর বর্তমানে আরোপিত ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে শূন্য শতাংশ করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর