বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ পরিবারের সদস্যদের

মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে খালেদা জিয়াকে বললেন জয়নাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে পরিবারের পাঁচজন সদস্য দেখা করেন। তারা হলেন— বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, ভাইয়ের মেয়ে শাহীনা জামান, ভাইপো অভিক ইস্কান্দার,   ভাগ্নি বেবি ইসলাম ও ভাগ্নে মো. আল মামুন। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁর কোমর ও পায়ের ব্যথা বেড়েছে। ডান চোখের ব্যথাও বেড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এমআরআইসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো দরকার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতেকারাগারে যান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় কারাফটক থেকে ফিরে আসেন তারা। বিএনপি মহাসচিব এ সম্পর্কে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দেখা করার অনুমতি ছিল। সেদিন দেখা করতে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দেখা করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ দেখা করার অনুমতি দেয়নি। তারা বলেছে, আইজি প্রিজন তার অফিসে উপস্থিত না থাকায় তাদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে খালেদা জিয়াকে : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার নির্জন কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে শয্যাশায়ী। তাই বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারকে অনুরোধ করছি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেটি কোনো শিডিউল কারাগার নয়। সেটি একটি নির্জন জাদুঘর। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে সেখানে রেখে অসুস্থ বানিয়েছে। এটা দুঃখজনক। আমরা মনে করি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে বিচার বিভাগ নিয়েও মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এরপরও আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থাশীল এবং আশা করি আগামী নির্ধারিত তারিখে সবকিছু বিবেচনা করে আদালত তাকে জামিন দেবে। জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কারা অন্তরালে তার এ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব নয়।

সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছে না। তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে চায়। খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে দুর্বল করে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট প্রত্যাহার ইস্যুতে তিনি বলেন, তারেক রহমান নাগরিকত্ব হারিয়েছেন এ কথা সঠিক নয়। জন্মসূত্রে পাওয়া নাগরিকত্ব কেউ কেড়ে নিতে পারে না। তিনি নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের জন্য নয়, যুক্তরাজ্যে সাময়িকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে সে দেশের সরকারের কাছে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। বারের বিএনপিপন্থি সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর