শনিবার, ৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক

খালেদার মুক্তিতে শক্ত কর্মসূচি চান নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কঠোর কর্মসূচি চান দলের অধিকাংশ নেতা। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতৃত্বের কাছে এ দাবি করেন মধ্যসারির নেতারা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে বেগম জিয়ার জামিন শুনানির দিন ব্যাপক শোডাউন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এর আগে দু-এক দিনের মধ্যে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণারও চিন্তাভাবনা চলছে। আজকালের মধ্যে এ কর্মসূচিও ঘোষণা হতে পারে। বৈঠকে নেতারা একমত হন, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।  বৈঠক চলাকালে বেরিয়ে এসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমরা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের নেতারা আগামীতে করণীয় কী আছে-  সে সম্পর্কে মতামত বলছেন। আগামীতে বিএনপি ও গণতান্ত্রিক শক্তি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কীভাবে কাজ করতে পারে- সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সভায় নেতাদের বক্তব্যে, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও তাঁর মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। একই সঙ্গে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’ বিকাল সাড়ে ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের নিয়ে যৌথ বৈঠকে বসে জাতীয় স্থায়ী কমিটি।  প্রায় আড়াই ঘণ্টা এ বৈঠক চলে। পরে রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন। বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর নাসির, খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আমিনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, গিয়াস কাদের চৌধুরী, শওকত মাহমুদ ছিলেন। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রিয়াজ রহমান, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রমুখ।

 আ ন হ আখতার হোসেন, জয়নাল আবেদীন ভিপি, শাহজাহান মিয়া, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, ইসমাইল জবিউল্লাহ, হায়দার আলী, আবদুল কাইয়ুম, এনামুল হক চৌধুরী, তাজমেরী এস ইসলাম, শাহিদা রফিক, শাহজাদা মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নাজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা, সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, মইনুল ইসলাম শান্ত, মামুন আহমেদ, খন্দকার মুক্তাদির আহমেদ, আবদুল হাই, আবদুল হাই শিকদার ও আবদুল কুদ্দুস।

এ ছাড়া বৈঠকে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ এবং সম্পাদকদের মধ্যে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিরিন সুলতানা, বদরুজ্জামান খসরু, মোজাফফর হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কামরুজ্জামান রতন, কায়সার কামাল, মীর সরাফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিনুল হক, আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবুল কালাম, সোহরাব উদ্দিন, হাজী ইয়াসীন আলী, সেলিম ভুঁইয়া, লায়ন হারুনুর রশীদ, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ফরিদ হোসেন মানিক, লুত্ফর রহমান কাজল, এবিএস ওবায়দুল ইসলাম, এম এ মালেক প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর