প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে সব প্রার্থীই সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে কোনো অসুবিধা দেখি না। গতকাল সকালে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮ উপলক্ষে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনার কাজে কোনো গাফিলতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও তীক্ষ নজর রাখতে হবে। তিনি শনিবার বিকাল থেকে খুলনা নগরীতে সরেজমিন পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আমেজ দেখে মনে হয়েছে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে। জনগণের মধ্যে সহনশীলতা আছে। তবে ভবিষ্যতে কোনো রকম অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রের প্রদর্শন বন্ধ রাখতে হবে। জনগণের আস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নির্বাচন কমিশনের মূল শক্তি। তাদের দায়িত্বশীল কার্যক্রমে খুলনায় একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি শতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের ছোটখাটো ইস্যুকে কেন্দ্র করে বড় ঘটনার সৃষ্টি না হয়। বিনা অপরাধে কাউকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতেও বলেছি। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কেন্দ্র প্রিসাইডিং অফিসার নিয়ন্ত্রণ করবে, গোটা নির্বাচনী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করবেন রিটার্নিং অফিসার। বিভাগীয় পর্যায়ে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি বিষয়গুলো দেখে থাকেন। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যাসহ এনএসআই, ডিজিএফআই, আনসার ও অন্যান্য বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।