বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কাউন্সিলরেও আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যক্তি ইমেজের ওপর ভর করে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবারের মতো সরাসরি দলীয় মনোনয়নে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিলেও একক গরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। খুলনার ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের ২০ জন, বিএনপির ১০ জন ও স্বতন্ত্র হিসেবে ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ১০ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলে ভোটারদের সঙ্গে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সরাসরি যোগাযোগ থাকার কারণে ‘ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা’ই এখানে ভোটের নির্ধারক হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আবদুর রাজ্জাক (বিদ্রোহী প্রার্থী), ২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সালাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কবির হোসেন কবু মোল্লা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থী ডালিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান লিটন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা কাজী তালাত হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুন্সী আবদুল ওদুদ, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. মুনিরুজ্জামান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা, ১৪ নম্বরে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোশারাফ হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মুন্না, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান বিশ্বাস, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মনি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী আশফাকুর রহমান কাকন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী শেখ গাউসুল আজম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি প্রার্থী শমসের আলী মিন্টু, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আলী আকবর, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মো. গোলাম মওলা শানু, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেড এ মাহমুদ ডন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমল আহমেদ তপন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফকির সাইফুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম মোজাফ্ফর রশিদী রেজা ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হলেও এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ হোসেন মিঠু। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৭ জন ও স্বতন্ত্র ৩ জন। নির্বাচিতরা হলেন-১ নম্বর ওয়ার্ডে (১, ২ ও ৩) বর্তমান কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরা আক্তার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে (৪, ৫ ও ৬) বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের সাহিদা বেগম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (৭, ৮ ও ৯) বর্তমান কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিমা আক্তার হেনা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (১১, ১২ ও ১৩) বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের পারভীন আক্তার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (৯, ১৪ ও ১৫) আওয়ামী লীগের মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (১৬, ১৭ ও ১৮) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আমেনা হালিম (বেবী), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে (১৯, ২০, ২৫ ও ২৬) বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে (২১, ২২ ও ২৩) আওয়ামী লীগের কনিকা সাহা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (২৪, ২৭ ও ২৮) বর্তমান কাউন্সিলর স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমা খাতুন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে (২৯, ৩০ ও ৩১) দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রয়েছে।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুত্ফুন্নেসা লুত্ফা এগিয়ে রয়েছেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের নির্বাচিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৮ জন কাউন্সিলর এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপি নির্বাচিত ৪ জন কাউন্সিলরকে এবার মনোনয়ন না দিলেও তাদের ৩ জন স্বতন্ত্র হিসেবে এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। একই ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন-এর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সরাসরি যোগাযোগ থাকায় ব্যক্তি ইমেজ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। দলীয় প্রভাব ও ব্যক্তিগত পরিচিতিও এখানে জয়ের ক্ষেত্রে কাজ করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর