কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের অতিলোভ এবং ভোক্তারা পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করায় মূল্য বৃদ্ধির এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তাই অন্যায়ভাবে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ছোলা, ভোজ্যতেল, খেজুর এগুলোর দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। কারণ এগুলোর বিশ্ববাজার স্থিতিশীল। এসব পণ্যের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। টাকা দিয়ে ভালো খাবার সবাই খেতে চায়। কিন্তু অসামঞ্জস্যপূর্ণ মূল্য বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। রমজানে যানজট যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয় তাই দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরামর্শ দিয়ে গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। তাই সরকারকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে চাঁদাবাজি ও মুনাফাভোগীদের ওপর। এখন থেকে পদক্ষেপ না নিলে নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাবে।