রবিবার, ২০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি কর্মীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি কর্মীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত

বিএনপির ইফতার পার্টিতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আজকে বিএনপির নেতারা বেশি না হলেও কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে দুরু দুরু করে। কাঁপবে না কেন? তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।’ কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চেয়ার ফাঁকা রেখে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ রাজনীতিবিদদের নিয়ে গতকাল ইফতার পার্টি করেন বিএনপি নেতারা। দ্বিতীয় রোজায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির এ আয়োজনে দলীয় চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতি মঞ্চে রাজনীতিবিদদের পাশে তার আসন শূন্য রাখা হয়। মঞ্চে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ছিলেন। ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বি চৌধুরী আরও বলেন, ‘সরকারি দল ক্ষমতায় আছে— এবারে আমাদের কী হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কী হবে? এটা কি খুব ভালো কথা, এটা কি রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ?’ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কন্ট্রোল করতে পারে, এদিকেও কন্ট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে বলে দেয়— তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথড্র করব, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। এটাও বলবে, ওটাও বলবে। একমাত্র তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে।’

অনুষ্ঠানে অতিথির সারিতে বসে ইফতার করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক। ইফতারে আরও ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২০-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, আবদুল হালিম, নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, মোবারক হোসাইন; ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা আবদুল করীম; খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের; বিজেপির আবদুল মতিন সউদ; জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এস এম এম আলম, আহসান হাবিব লিঙ্কন; এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম; কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, শাহিদুর রহমান তামান্না; জাগপার রেহানা প্রধান, খন্দকার লুত্ফর রহমান, আসাদুর রহমান খান; এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা; এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা; লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি; মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী; ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম; বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া; সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ; পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন; ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী; জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশের মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী; ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি প্রমুখ নেতা।

সর্বশেষ খবর