শিরোনাম
সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সীমান্তে ফের উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সীমান্তে ফের উত্তেজনা

বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের দুই দিন পর বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শূন্যরেখায় অবস্থানরত প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গাকে সরে যাওয়ার জন্য শনিবার থেকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের মাইকিং ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করায় এ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তুমব্রুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, শূন্যরেখার জমিগুলো মিয়ানমারের মংডু জেলার অংশ দাবি করে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গারা গভীর আতঙ্কে রয়েছেন। গতকালও মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর টহল দল মাইকিং করে সীমান্তের রোহিঙ্গাদের সরে যেতে হুমকি দিয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সীমান্তের বাসিন্দা হওয়াতে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে থাকি। তুমব্রু সীমান্তে অবস্থানরত মাত্র কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে কেন্দ্র করে কিছু দিন পর পর জটিলতা সৃষ্টি ও উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে আমাদের সার্বক্ষণিক টেনশনে থাকতে হচ্ছে।’ কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মাইকিং করার পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই, কারণ বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্টরা জানান, একদিকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা, অন্যদিকে মিয়ানমারের উল্টো পথে চলা শুভ লক্ষণ নয়। এর আগে গত মার্চের শেষদিকে মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরে যেতে মাইকিং ও সেনা টহল বৃদ্ধি করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। ঠিক একইভাবে গত শনিবার সকাল থেকে আবারও সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সরে না গেলে মিয়ানমার সরকারের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ও প্রত্যাবাসন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক।

 সেখানে সংকট সমাধানের বিষয়ে আলাপ করতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা ছিলেন। কিন্তু ওই বৈঠকের দুই দিন পরেই সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর