সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও তাদের জন্য নির্বাচনী ট্রেন থেমে থাকবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা  নির্বাচনে না এলেও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ভয় দেখাচ্ছেন কেন? এই নির্বাচনে অনেক দলই অংশ নেবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম দলীয় নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু সেই সৎ সাহস তাদের নেই। আন্দোলন এখন অনেক দূরে। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আর আন্দোলনের সুযোগ দেবে না।’ তিনি বলেন, ‘খুলনা নির্বাচন, বার কাউন্সিল নির্বাচন থেকেও ওনারা শিক্ষা নিলেন না। না জিতলে বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পক্ষপাতদুষ্ট। আর জিতলে বলেন, সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে— নতুবা আরও বেশি ভোট পেতেন। কুমিল্লায় জিতেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন খালেদা জিয়া।’

‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ বিএনপিই তৈরি করেছিল’ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আশার বিষয় হচ্ছে, এবার আর সেই ফাঁদে কেউ পড়ছে না। বিএনপি একটি বড় দল, নির্বাচনে অংশ নিলে পূর্ণাঙ্গতা পাবে। আর অংশ না নিলেও এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কম হবে না।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় এ সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান হিরণ, শহীদ সেরিনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান আতা, আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, মিজানুল ইসলাম মিজু, রওশন জামির রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল ইসলাম খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

সভায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটিকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুবলীগের প্রস্তাবটি আমার বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য। আমি বিষয়টি সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছি। তবে আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। দলের কার্যনির্বাহী সংসদে এ বিষয়ে আমি প্রস্তাব তুলব। আমার মনে হয়, প্রস্তাবটি গৃহীত হবে।’

শেখ হাসিনাকে বিশ্বশান্তির প্রতীক আখ্যায়িত করে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে বাংলাদেশের অবস্থা আফগানিস্তান, ইরাকের চেয়েও খারাপ হতো। শেখ হাসিনার জন্যই এদেশের মানুষ ভাতের অধিকার, ভোটাধিকার ফেরত পেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর