শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিটি ভোটের প্রচারে সুযোগ পেলেন এমপিরা

আচরণবিধি সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচারণার সুযোগ দিয়ে আচরণবিধি সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে সিটির প্রত্যেক ওয়ার্ডে মেয়র প্রার্থীদের একটি করে অফিস স্থাপন এবং নির্বাচনী প্রচারে প্রতীকের প্রতিকৃতি ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার না করাসহ ‘আচরণ বিধিমালায় বিভিন্ন ধরনের ১১টি’ সংশোধনী এনেছে কমিশন। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্যপদ লাভজনক নয়। সেজন্যই তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন। এ-সংক্রান্ত সংশোধনী নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেছে। সংসদ সদস্যপদ কেন লাভজনক নয়— তার ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, তারা কোনো অফিস হোল্ড করেন না, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন না, কিনে ব্যবহার করেন। কোনো সরকারি কর্মকর্তাও যুক্ত নেই তাদের সঙ্গে। সিটি করপোরশন আচরণ বিধিমালায় বিভিন্ন ধরনের ১১টি সংশোধনী আনার প্রস্তাব কমিশন করেছে জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, আগামী রবিবার তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল আগেই ঘোষিত হওয়ায় এ সংশোধনী চূড়ান্ত হয়ে ওই নির্বাচনে কার্যকর সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’ বলে মন্তব্য করেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট সিটি করপোরেশন নয়, সব সংসদ সদস্যের জন্য এটা ওপেন থাকবে। লাভজনক পদ না হওয়ায় তাদের ওপর থেকে এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলো। তবে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যপদে তাদের ইস্তফা দিতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ইসির স্টেকহোল্ডার। তাদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করেই সংশোধনীর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রচারণায় অংশ নিতে পারলেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা গ্রহণ করতে পারবেন না জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা ভোটের সময় ডাকবাংলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না। ১৩ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনের দাবি জানায়। এরপর ১৯ এপ্রিল এ বিষয়ে বৈঠক করে কমিশন। বৈঠকে একজন নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে। অন্য একজন কমিশনার সব সংসদ সদস্যকে এ সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেন। তবে গতকাল ইসির বৈঠকে এ আচরণবিধি সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর