শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

জঙ্গি মাদক ব্যবসায়ী ও খুনিদের জামিন নয়

আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞদের মত

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও সিরিয়াল খুনের সঙ্গে জড়িতদের জামিন প্রদান বন্ধ করা উচিত। কারণ সমাজে ভয়াবহ অপরাধপ্রবণতা কমানো না গেলে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যেতে পারে। বিপর্যয়ে পড়তে পারে রাষ্ট্র। দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও নাগরিকরা এমন মন্তব্য করেছেন।

তাঁদের মতে, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এ অবস্থায় উন্নয়ন সাফল্যকে ধরে রাখতে কিছু ক্ষেত্রে আদালতকে জিরো টলারেন্সে থাকতে হবে। সমাজ ধ্বংসকারী জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী, খুনিদের জামিনে রাখা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী ও সিরিয়াল খুনের দায় মাথায় নিয়ে যারা দেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে তারা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি শুধু নয়, পুরো  রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এ ধরনের অপরাধীদের হাতে দেশ জিম্মি হতে পারে না। নারী ও শিশু নির্যাতন যেমন জামিন-অযোগ্য অপরাধ তেমনই জঙ্গি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও সিরিয়াল কিলারদের অপরাধকেও অজামিনযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার বিধান করতে হবে। এতে দায়মুক্তির যে সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আদালতের এখতিয়ার আদালতের হাতে রাখতে হবে। এ ধরনের অপরাধীদের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা তারা নিশ্চয় করেন। অপরাধীর শাস্তি প্রদানে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। অপরাধীদের হাতে সমাজের নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে না। এজন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন পড়লে তাও ভাবতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে আমরা শতভাগ সমর্থন করি। কিন্তু আইনের ফাকফোঁকর দিয়ে মাদকের গডফাদাররা যেন বেরিয়ে যেতে না পারেন আদালতকে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মাদকের মামলায় ১০ বছরের সাজা অপর্যাপ্ত। আইনের সংশোধনের মাধ্যমে এ সাজা সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি, খুনি, অপরাধীরা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে। এ ধরনের অপরাধীদের শাস্তি দিতে জামিন না দেওয়ার বিধান প্রয়োজনে প্রণয়ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর