বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

তিন সিটিতে ভোট ৩০ জুলাই

মনোনয়ন জমা ২৮ জুন, বাছাই ১-২ জুলাই, প্রত্যাহার ৯ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীরা ২৮ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হলেও গতকাল ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তফসিল অনুযায়ী, ২৮ জুন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়ন বাছাইয়ের তারিখ ১ ও ২ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ জুলাই। ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। এরপর ভোট ৩০ জুলাই।

গতকাল দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিন সিটি নির্বাচনের তফসিলের প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। বরিশাল, সিলেট, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের তিন সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী ও বরিশালে ১০ জন করে এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে ৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ তিন সিটিতেও ইভিএম ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। কী পরিমাণ ইভিএম ব্যবহার করা হবে এটি কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সঙ্গে তিন সিটিতে এমপিদের প্রচারণার অংশ নেওয়ার বিষয় পরে জানানোর কথা বলেন সচিব। এর আগে ২৯ মে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তিন সিটি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ভোট গ্রহণের তারিখও ঘোষণা করেন।

এদিকে তিন সিটির ভোটের আগে আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। ১৮ জুন থেকে প্রচারণা শুরু হবে এ সিটিতে। গত ১৫ মে খুলনা সিটির সঙ্গে গাজীপুরে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের আদেশে তা আটকে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এই তিন সিটি করপোরেশনেই ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর; নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ৯ এপ্রিল। সিলেট সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর, ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। বরিশাল সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ২৭ এপ্রিল। এসব সিটি নির্বাচনের পর চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে ইসিকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর