পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘মহাসড়কে যানজট শুধু পুলিশের ওপর নির্ভর করে না। আরও অনেক উপাদান এর সঙ্গে কাজ করে। মানুষ রাস্তার কতটুকু ব্যবহার করছে, রাস্তা কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তার ওপরও নির্ভর করে। এনফোর্সমেন্টের একটি বিষয় পুলিশ দেখে। বিআরটিসহ অন্য সংস্থাগুলোও এনফোর্স করে। মহাসড়কগুলোতে হাইওয়ে পুলিশ ও আমরা মিলে এনফোর্স করার চেষ্টা করছি।’

গতকাল দুপুরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় মহাসড়কের হালচাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

মহাসড়কে জলাবদ্ধতায় যান চলাচলে বিঘ্নের ব্যাপারে আইজিপি বলেন, টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অর্ধেকজুড়েই ড্রেনের পানি। ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাতেও ধারণক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে তখন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করে না। জলাবদ্ধতা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে রাস্তা ঠিকমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, প্রতিটি পরিবহন খাতসহ মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। হাইওয়ে কর্তৃপক্ষও তাদের সঙ্গে নিয়মিত বসছে। রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয় তবে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চক্র ধরা পড়েছে। এসব চক্রের কাছ থেকে যাত্রীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু গ্রহণ করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। নিজের নিরাপত্তা আগে নিজেকেই দেখতে হবে।  পরে আইজিপি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় এলাকা পরিদর্শন করেন।