শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে আইনজীবীদের মতভেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তার আইনজীবীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন প্যারোলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবি করলেও দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে প্যারোলের বক্তব্য খন্দকার মাহবুবের ‘ব্যক্তিগত মত’ বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন জয়নুল আবেদীন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে চার মাস ধরে কারাবন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া। মামলাটিতে আপিল করে জামিন পেলেও অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোয় তার মুক্তি আটকে আছে। তার জামিনের আবেদন বিবেচনাধীন অবস্থায় বুধবার খন্দকার মাহবুব ঢাকায় তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, এখন সরকার কেবল প্যারোলে মুক্তি দিলে খালেদা জিয়া বেরিয়ে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে পারবেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুবের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের একজন আইনজীবী (খন্দকার মাহবুব) সংবাদ সম্মেলন করে প্যারোলে মুক্তি চেয়েছেন। আমরা মনে করি, এটি তার ব্যক্তিগত মতামত। আমরা আইনজীবী সমাজ এটি মনে করি না। তার ব্যক্তিগত মতামতের ওপর আমরা কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাইফুল আলম মাহমুদ, আহসান উল্লাহ, মো. ফারুক হোসেন ও এহসানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়াকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়ার দাবি জানিয়ে জয়নুল বলেন, অতীতে এরকম অনেক উদাহরণ আছে যে, কয়েদিরা ব্যক্তিগতভাবে খরচ বহন করে চিকিত্সা নিতে পারেন। সেই কারণেই পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে আবেদন গ্রহণ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিত্সার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু খালেদা জিয়ার চিকিত্সা নিয়ে সরকার ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সেখানে সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হোক। কিন্তু সেটা অবশ্যই আইন মোতাবেক হতে হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয়। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনি কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা জানতে পেরেছি, প্রায় ২০০ জনের বেশি নাগরিককে এরই মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় অনেক গডফাদার দেশের বাইরে চলে গেছে। এটা কোনো সভ্য দেশে কাম্য হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর