মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশের গণতন্ত্র এখন সুরক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের গণতন্ত্র এখন সুরক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। আমরা আজকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজকে সুরক্ষিত। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। দেশের জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। গত শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী এবং বিচারক ও কূটনীতিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেন বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলতে পারি, সেভাবেই আমরা এ দেশকে গড়ে তুলছি এবং দেশ সেভাবেই এগিয়ে যাবে। বাধাবিঘ্ন অনেক কিছুই আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে এবং অতিক্রম করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ নিয়ে এসেছে। আমি চাই, বাংলাদেশের মানুষ এ আনন্দঘন পরিবেশে সারা জীবন বসবাস করবে এবং সুন্দরভাবে থাকবে, এটাই আমার কামনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, জীবনমান উন্নত হয়েছে। শিক্ষার হার ও গড় আয়ু বেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে, তা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করব, ইনশা আল্লাহ। ২০২১ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ সালে আমরা পালন করব। তিনি আমাদের একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয় দিয়েছেন। একটি দেশ দিয়েছেন। কাজেই তার জন্মশতবার্ষিকীও দেশবাসী পালন করবে। সেটাই আমরা চাই। তিনি বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ঘরে ঘরে পৌঁছাক এবং সবাই অনাবিল আনন্দ নিয়ে ঈদ উৎসব করুক।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঈদের নামাজ শেষে সর্বস্তরের মানুষ এসে ভিড় করলে সকাল ৯টায় সাধারণের জন্য গণভবনের গেট খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহম্মদ ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক এবং সাহারা খাতুন, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অসীম কুমার উকিল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে গণভবন লনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে পৃথকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং তিন বাহিনী প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা : ঢাকায় অবস্থানরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঈদের বিশেষ উপহার ফুল, ফলমূল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঈদের দিন শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এসব উপহার শেরেবাংলানগরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর এবং সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার তুলে দেন।

সর্বশেষ খবর