এবার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে গতকাল সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বিনয়ভূষণ রায়। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, সরকার ২০১০ সালে সর্বশেষ এমপিওভুক্তি দিয়েছিল। এরপর আর কোনো অর্থবছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি। অথচ বরাবরই বলে আসছে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিনিয়ত দিতে হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থেকে দেশের সেবা করলেও চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন তারা। হারাচ্ছেন সামাজিক মর্যাদাও। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছি। বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বার বার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ভেবেছিলাম ঈদের আগেই সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো কোনো আশ্বাস পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়ি ফিরে যাবেন। তা না হওয়ায় আমাদের এ আন্দোলন তীব্রতর করে তোলা হবে। দাবি আদায় ছাড়া বাড়ি ফিরে যাবেন না শিক্ষকরা।’ তিনি জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারী খোলা আকাশের নিচে এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সারা দেশে বর্তমানে সাড়ে ৭ হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব প্রতিষ্ঠানকে এখনো এমপিওভুক্ত না করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা নয় দিন আন্দোলন করছেন তারা। শনিবার ঈদের দিনও ঈদের নামাজ শেষে তারা মিছিল করেছেন।