মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

তারা কারও বন্ধু নয়

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

তারা কারও বন্ধু নয়

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, যারা তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণ নীতির অভিযোগ আনছেন তারা কেউই হিন্দু বা মুসলিমদের বন্ধু নয়। মমতার অভিমত ‘আমি মুসলিম তোষণ করি বলে কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন হলো হিন্দুদের ভালোবাসা মানে কি মুসলিমদের ঘৃণা করা। আমি সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। এই দেশ সবার’। শনিবার কলকাতার রেড রোডে ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের এসব কথা বলেন মমতা ব্যানার্জি। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে রাজ্য ক্ষমতায় আসার পরের বছরই (২০১২ সালে) মুসলিমদের কাছে পেতে একাধিক পদক্ষেপ নেয় মমতা সরকার। ওই বছরের এপ্রিলেই ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক ভাতা, তাদের সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে জমি ও শিক্ষা দানের ঘোষণা করেন তিনি। নিজেকে মুসলিম দরদি প্রমাণ করতে সে সময় থেকেই বড় বড় হোর্ডিং-এ মাথায় হিজাব পরা মমতাসহ তাঁর দলের অন্য নেতাদের মাথা ঢাকা ও দুই হাত জোড়া করা প্রার্থনার ছবিতে ঢেকে যায় কলকাতার ব্যস্ততম এলাকাগুলো। যা আজও দেখা যায় অনেক জায়গাতেই। মমতার এই মুসলিম প্রীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিজেপিসহ বিরোধী দলগুলোকে। তাদের অভিমত এটা সংখ্যালঘু তোষণ ছাড়া কিছুই নয়। মমতার বক্তব্য শনিবার দিল্লিতে পূর্ব নির্ধারিত নীতি আয়োগের বৈঠকের দিন পরিবর্তনের দাবিতে তাঁর করা প্রতিবাদের জন্যই মুসলিম তোষণ নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মমতা জানান ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের কাছে আমার প্রশ্ন তাঁরা কি জানেন না যে ১৬ জুন (শনিবার) ঈদ আছে। নীতি আয়োগের বৈঠক কেন ঈদের দিন রাখা হয়েছে? এই দিন পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লিখেছিলাম, যাতে ঈদের সঙ্গে বৈঠকের দিন নিয়ে কোনো বিবাদ না তৈরি হয়’। উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকের পূর্বনির্ধারিত দিন ১৬ জুন (ঈদের দিন) পরিবর্তন না করলে সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মমতাসহ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই ওই বৈঠক একদিন পিছিয়ে ১৭ জুন করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর