মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপের অ্যান্টি ডোপিং টিমে বাংলাদেশি

ক্রীড়া প্রতিবেদক, রাশিয়া থেকে

বিশ্বকাপের অ্যান্টি ডোপিং টিমে বাংলাদেশি

বত্রিশ বছরের যুবক মোহাম্মদ আবদুল মতিন। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া এসেছিলেন ডাক্তারি পড়তে। এরপর থেকে একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন অনেকটা উঁচুতে। দেশকে তুলে ধরেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। ফিফার সবচেয়ে ক্ষমতাধর যে কয়েকটা উইং আছে তার মধ্যে একটা হলো, অ্যান্টি ডোপিং ডিপার্টমেন্ট। এমনকি বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীনও তাদের যে কোনো স্থানে প্রবেশাধিকার আছে। কাউকে সন্দেহ হলে তার স্যাম্পল পাওয়া পর্যন্ত ওয়াশরুম পর্যন্ত যেতে হয় এ দলের সদস্যদের। মেসি, নেইমার, রোনালদো, সালাহদের মতো তারকারাও এই তালিকা থেকে বাদ যায় না। মোহাম্মদ আবদুল মতিন এই দলের সদস্য। সারা বিশ্ব থেকে এই টিমের সদস্য হতে আবেদন জমা পড়েছিল সাড়ে সাতাশ হাজার। এর মধ্য থেকে বার বার (১১ বার) সাক্ষাৎকার নিয়ে মাত্র ৪৪ জন সেরা ডাক্তারকে বেছে নেয় ফিফা। এ যেন সিন্দু সেঁচে মুক্তো পাওয়ার মতোই ব্যাপার! আবদুল মতিনের সঙ্গে দেখা হতেই জানালেন নানান তথ্য। কিভাবে অ্যান্টি ডোপিং টিম কাজ করে। একজন ফুটবলারকে সন্দেহ হলে কিভাবে তার নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। আরও অনেক কিছু। সেই সঙ্গে বললেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরব একদিন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথেই ছুটছি আমি।’ ফিফার মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে তিনি যে দেশকে কতটা মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন, তা বুঝা গেল সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে যেতেই। বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিক পরিচয় পেলেই পাওয়া যায় আলাদা খাতির। আইটি সাপোর্ট স্টাফ থেকে শুরু করে সাধারণ ভলান্টিয়ারদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় বাংলাদেশের ডাক্তার আবদুল মতিন। তার দেশের সাংবাদিক শুনলেই ছুটে আসেন তারা। বাড়তি আদর আপ্যায়ন করেন। আবদুল মতিন এমবিবিএস শেষ করেছেন রাশিয়ার রুস্টভ অন ডন থেকে। এরপর সেন্ট পিটার্সবার্গেই কার্ডিওলজির উপর করছেন পিএইচডি। নিজের অবস্থান নিয়ে তিনি কী ভাবেন? প্রশ্নটা করতেই লাজুক হেসে বললেন, আমি দেশকে এতটা উঁচুতে তুলে ধরতে পেরেই গর্ব বোধ করি। আবদুল মতিনকে নিয়ে গর্ব করবে পুরো বাংলাদেশই।

সর্বশেষ খবর