শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংলাপে সরকার বাধ্য হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংলাপে সরকার বাধ্য হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সময় এলে সরকার সংলাপে আসতে বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। এখন বলা যাবে না।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের প্রথম এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। মওদুদ বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে যখন যে অবস্থা তৈরি হবে, তখন সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে। আর দেশের বর্তমান সমস্যার সমাধান সংলাপে হতেও পারে, আবার সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন মওদুদ। তিনি বলেন, ‘যার নির্বাচনী এলাকায় গণতন্ত্রের লেশমাত্র নাই তার বক্তব্যের কী জবাব দেব? সংলাপের প্রয়োজন আপনারা (ওবায়দুল কাদের) বোধ করবেন।

আর সময় এলে বর্তমান সরকার সংলাপে আসতে বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। এখন বলা যাবে না।’ নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার কোনো সুযোগ নাই— ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমরা কি বলেছি? আমরা কি দরখাস্ত করেছি? এসব অবান্তর কথা কেন বলেন? কোনো প্রয়োজন নেই এসব কথা বলার।’ মওদুদ বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীনরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী সরকার। বর্তমান সরকার সহজে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না। কিন্তু জনগণের আন্দোলন ও জোয়ারের মুখে তারা তা করতে বাধ্য হবে।’ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং নির্বাচন চাইলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মওদুদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এটা হচ্ছে অন্যতম শর্ত। আরেকটি, নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ রেখে নির্বাচন করা হবে নিরর্থক প্রচেষ্টা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। এগুলো হলেই নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে।’

দেশের সব রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে ‘পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী এবং সংগঠন’ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একদিকে থাকবে আওয়ামী আর অন্যদিকে থাকবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের কাছে আমরা যা চাই, তা আদায় করে নিতে হবে।’

বিএনপির সামনে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর বেগম জিয়াকে মুক্ত করেই তার নেতৃত্বে আন্দোলনকে সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুত্ফর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব  সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর