রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
ব্যাংকিং খাতে সুদের হার হ্রাস

প্রধানমন্ত্রীর ওপর খুশি ব্যবসায়ীরা

রুহুল আমিন রাসেল

প্রধানমন্ত্রীর ওপর খুশি ব্যবসায়ীরা

সুদের হার নিয়ে ব্যাংকিং খাতের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি এনে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে পুঁজিবাজার একদিকে চাঙ্গা হবে। অন্যদিকে স্বস্তিদায়ক বিনিয়োগের কারণে লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সব মিলিয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং খাতে সুদহার কমে যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ওপর খুশি দেশের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এই স্বস্তিদায়ক অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য। একই সঙ্গে তারা মনে করেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আরও কমানো দরকার। পাউন্ডে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ডলারে দশমিক ৫ শতাংশ সুদের হার রয়েছে। তাই বিশ্ব বাস্তবতায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমালে বিনিয়োগমুখী পরিবেশ তৈরি হবে। বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়বে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত চার বছরে হরতাল ও অবরোধ না থাকায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের জোয়ার তৈরি হয়েছে। এমনকি দোকানপাট, অফিস বন্ধ না হওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন। কোনো ব্যবসায়ী আর আগুন সন্ত্রাস ও বিনিয়োগবিরোধী পরিবেশ দেখতে চান না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাড়া দিয়ে ব্যাংকগুলো আগামী ১ জুলাই থেকে বিনিয়োগে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট বা একক অঙ্কে ও আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুদহার কমছে। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক স্বস্তির সঞ্চার হয়েছে। আশা করছি, অচিরেই সুদহার কমানোর সুফল পাবে দেশের অর্থনীতি। বিনিয়োগ বেড়ে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পথ খুলে যাবে।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সুদহার কমাতে সরকারের এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী। আশা করছি, সবাই বিনিয়োগমুখী হবেন।

এফবিসিসিআইর আরেক সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের মতে, সুদহার কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিটে আনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন যাবত প্রয়াস চালিয়েছেন। তার সরকার ব্যাংকগুলোকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তারই ফসল সুদহার কমে যাওয়া। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।

এফবিসিসিআইর আরেক সাবেক সভাপতি ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ মনে করেন, সুদহার কমানোর ফলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে পুরো ব্যবসায়ী সমাজ খুশি। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করতে দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন করতে হবে। সেটা সরকারি ও বেসরকারি খাত দুই দিকেই। বেসরকারি খাতের শিল্পায়ন করতে গেলে, সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট ছাড়া সম্ভব না। এমন বাস্তবতায় সুদহার কমানোর উদ্যোগ অত্যন্ত ইতিবাচক হবে। এদিকে সুদহার কমানোর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গত সপ্তাহে এফবিসিসিআই বলেছে, ঋণের সুদহার কমানোর ফলে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবে ও আস্থা বাড়াবে। এ জন্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ নজর রাখবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রীর তাত্ক্ষণিক ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ এবং ব্যাংক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করায় শেখ হাসিনাকে বিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআইর মতে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মহলে দারুণভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে। উন্নয়নশীল দেশ ও মধ্যম আয়ের মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও সরকারের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর