সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেই জার্মানিই হতে পারে গ্রুপ সেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘বেস্ট নেভার রেস্ট’ -জার্মানি ফুটবল দলের ক্যারিয়ার গাড়ি মার্সিডিজ বেঞ্জের গায়ে সাঁটানো স্টিকার। ‘সেরাদের থামতে নেই’ বাক্যটি শুধুমাত্র কথামালার অংশ নয়, এটা জার্মান জাতির জীবন দর্শন এবং চলার পথের পাথেয়। শেষ পর্যন্ত না দেখে কখনোই হাল ছাড়ার পাত্র নয় জার্মানরা-এটা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ধারণা।

সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে জীবন দর্শনের উপস্থাপনায় ম্যাচ জিতেই মাঠ ছেড়েছে জোয়াকিম লো’র জার্মানি। শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর কাছে হেরে খাদের কিনারায় চলে আসা চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এখন স্বপ্ন দেখছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। যদিও সেরা ১৬ এখনো নিশ্চিত হয়নি ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তাহলে টনি ক্রোজ, টমাস মুলাররা কিভাবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখেন?

টানা দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে ‘এফ’ গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে প্রায় পা দিয়েই রেখেছে মেক্সিকো। ৩ পয়েন্ট নিয়ে পরের স্থানে রয়েছে জার্মানি ও সুইডেন। সুইডেনের বিপক্ষে শেষ মিনিটে ক্রুজের অবিশ্বাস্য গোলে জমিয়ে তুলেছে গ্রুপের ম্যাচ। ২৭ জুন কোন দুই দল সেরা ১৬-তে জায়গা নিবে, সেটা চূড়ান্ত হবে। সেদিন জার্মানির প্রতিপক্ষ এশিয়ার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়া আবার প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। জার্মানি যদি সেদিন জিতে যায় তাহলে পয়েন্ট হবে ৬। অন্যদিকে মেক্সিকোকে যদি হারিয়ে দেয় সুইডেন, তাহলে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির পয়েন্টও হবে ৬। হেরে গেলে মেক্সিকোর পয়েন্টও হবে ৬। তিন দলের তখন পয়েন্ট হবে ৬। এমন সমীকরণে তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আবার হিসাব অন্যরকমও হতে পারে। জার্মানি যদি ড্র করে কোরিয়ার সঙ্গে এবং ড্র হয় মেক্সিকো-সুইডেন ম্যাচ, তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে মেক্সিকো এবং গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে যাবে সেরা দ্বিতীয় দল।

কোরিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ম্যাচে নেমেছিল সুইডেন। জার্মানি নেমেছিল হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচটিতে প্রথমে এগিয়ে যায় সুইডেন। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা আনে জার্মানি। ম্যাচ যখন নিশ্চিত করে ড্রয়ের পথে এগোচ্ছিল, তখনই ডি বক্সের মাথা থেকে অবিশ্বাস্য গোল করেন টনি ক্রোজ। ওই গোলটিই এখন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছে গত আসরের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপের আশা।

সর্বশেষ খবর