সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার চ্যালেঞ্জে এরদোগান

প্রতিদিন ডেস্ক

ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার চ্যালেঞ্জে এরদোগান

তুরস্কে গতকাল প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই নির্বাচন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটে তাঁকে এবার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র : রয়টার্স। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। তুরস্কজুড়ে এক লাখ ৮০ হাজার ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়েছেন দেশটির পাঁচ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ভোটার। জনমত জরিপে এরদোগানকে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় খানিকটা এগিয়ে থাকতে দেখা গেলেও গতকালের প্রথম দফা নির্বাচনে তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ৮ জুলাই দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরদোগানের মতো তার দল একে পার্টির জনসমর্থনও আগের তুলনায় কমতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

নির্বাচনে মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরদোগান এবং ইনসে ছাড়াও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে জেল থেকে লড়ছেন কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) প্রার্থী সেলাহাত্তিন দেমিরতাস। সন্ত্রাসবাদসংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে, যদিও সরকারের এই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন এইচডিপির এই নেতা। ভোটের আগে কারাগার থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় জনগণের সমর্থন চান দেমিরতাস। অপর প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা হচ্ছেন ইয়ি পার্টির মেরাল আকসেনার, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলু।

পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে বড় দুই দল। এরদোগানের একেপির নেতৃত্বাধীন ‘পিপলস অ্যালায়েন্স’ জোটে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি এবং ইসলামী জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টি। কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপির নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ জোটে রয়েছে সিএইচপি, ইয়ি পার্টি, ইসলামপন্থি দল সাদাত পার্টি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের এগিয়ে থাকার আভাস মিলেছে। তবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে তার দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)।

প্রসঙ্গত, গত বছর হওয়া গণভোটের ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনে জিতলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোগান, যা ন্যাটো সদস্যভুক্ত এ দেশটির গণতন্ত্রকে খর্ব করবে এবং একে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবে বলে শঙ্কা সমালোচকদের।

সর্বশেষ খবর