সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
কমিটির প্রথম বৈঠক

কোটা সংস্কারে আরও তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি প্রথম বৈঠক করেছে গতকাল। কমিটির সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে তার দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি কোটার বিষয়ে দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহের। বৈঠক শেষে কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া ১৫ দিন সময়ের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সেই লক্ষ্যে আগামী সাত দিনের মধ্যে কোটা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন তারা।

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে বলা হয়, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা বা সংস্কার বা বাতিলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের যৌক্তিকতাসহ সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে। আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। আর কমিটি গঠনের ছয় দিনের মাথায় কমিটি গতকাল তাদের প্রথম সভায় মিলিত হলো।

এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব।

বৈঠক শেষে যুগ্ম-সচিব আবুল কাশেম বলেন, মিটিংয়ে মূলত কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশে-বিদেশে যত তথ্য রয়েছে বা বিভিন্ন সময় গঠিত কমিশন বা কমিটির যেসব রিপোর্ট রয়েছে তা যত দ্রুত সম্ভব সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে সব রিপোর্ট, প্রতিবেদন বা তথ্য পাওয়ার পর কমিটি দ্বিতীয় বৈঠকে বসবে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদন, বিভিন্ন সময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের কমিশন বা তাদের ব্যক্তিগত রিপোর্টও রয়েছে। যত দ্রুত পারি সেগুলো সংগ্রহ করব। আমরা এটা নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করতে চাচ্ছি। এটা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এগুলো সংগ্রহের ওপর পরবর্তী সভা নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, চেষ্টা করছি যত দ্রুত পারি, কর্মপরিধি অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার। কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় ‘এক্সপার্ট বোর্ড’ করা হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহের পর সভা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি করছে। আসলে তারা অনেকেই তথ্য না জেনেও আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু চাচ্ছেন এ বিষয়ে ভালো-সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত, সে জন্য শক্তিশালী কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।

সর্বশেষ খবর