মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঢাবিতে নিষিদ্ধ বহিরাগতরা

পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র তারিকুল ইসলামের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সকালে তারা পরীক্ষা বর্জন করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাইমা হক, বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, তারিকুলের বাবা সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ দিন বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা ছিল। শিক্ষার্থীরা বর্জন করায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, তারেক এই বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষায় অংশ নেব না। এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘তারেকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ ‘মিথ্যা মামলা আর কত’ ‘নো ক্লাস নো এক্সাম উইথআউট তারেক’ ‘মিথ্যা মামলার নামে প্রহসন বন্ধ কর’ ইত্যাদি লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

ঢাবিতে নিষিদ্ধ বহিরাগতরা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ অবস্থান, ঘোরাফেরা এবং কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রভোস্ট কমিটি থেকে বলা হয়েছে, হল প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অভিভাবক এবং অতিথিও হলে অবস্থান করতে পারবেন না। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রভোস্ট কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছাত্রত্ব নেই এমন কাউকে হলে থাকতে দেওয়া হবে না। অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক হল ও হোস্টেলসমূহে নিষিদ্ধ সংগঠন, চরমপন্থি ও উগ্র ভাবাদর্শ প্রচারে ও কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রশাসনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থিরা যাতে কোনো অবস্থাতেই হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে না পারে সে ব্যাপারে হল প্রশাসন ‘সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর’ থাকবে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সব হলে অবস্থানরত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসন নিয়মিত মতবিনিময় সভা করবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে সাম্প্রতিককালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য ৫ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাগুলোর তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর