বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংসদ নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা আর হালনাগাদের কোনো কর্মসূচি নেবে না নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরের মধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটারের সিডি প্রস্তুত ও ভোটার তালিকা মুদ্রণ সম্পন্ন করা হবে। আর অক্টোবরের শেষে উপযুক্ত সময়ে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব।

গেল জানুয়ারিতে হালনাগাদ শেষে বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার রয়েছেন, যারা আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি সচিব বলেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখন আর নতুন করে হালনাগাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে না। তবে বাদ পড়া বা যোগ্য কেউ থাকলে চলমান প্রক্রিয়ায় তারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। তিনি জানান, প্রতিবছর ১ মার্চ ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছর দিবসটি প্রথমবারের মতো আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হবে। হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোটার তালিকা মুদ্রণ অক্টোবরে সম্পন্ন করতে হবে। অক্টোবরের শেষে উপযুক্ত সময়ে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। তাই ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে যে কোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সচিব বলেন, ৩০ জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বরিশালে ১০টি কেন্দ্রে এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুটি করে কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।

সংসদ নির্বাচনের পর হিজড়া পরিচয়ে ভোটার : ইসি সচিব জানান, তৃতীয় লিঙ্গের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পর আগামী বছর থেকে হিজড়া পরিচয়ে তাদের ভোটার নিবন্ধন করা হবে। বর্তমানে তারা নারী বা পুরুষ পরিচয়ে নিবন্ধিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করার লক্ষ্যে হিজড়া পরিচয়ে নিবন্ধন করতে সময় লাগবে। তবে কেউ আবেদন করলে তাকে হিজড়া পরিচয়ে নিবন্ধন করা যেতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর।

সর্বশেষ খবর