শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাইকোর্টের রায়েই রক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

ভিসির বাড়িতে হামলাকারীদের গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাইকোর্টের রায়েই রক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাই কোর্টের রায়েই রক্ষিত রয়েছে। হাই কোর্টের রায় তো আমি লঙ্ঘন করতে পারি না। এটা করলে তো আদালত অবমাননায় পড়ে যাব। এটা কেউ করতে পারবে না। অন্যদিকে যারা আন্দোলনের নামে ভিসির বাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের তো ছাড়া যায় না, ছাড় দেব না। যতই আন্দোলন করুক। এটা বরদাশত করা যায় না।   স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোটা সংস্কার আমরা করব। আমি তো বললাম, সব বাদ দিতে। আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে দিয়ে একটা কমিটি করে দিয়েছি। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায় আমার সেটাই প্রশ্ন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারা কী চায় বার বার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, সেটা কিন্তু সঠিকভাবে তারা বলতে পারে না। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বুধবারই বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টের রায় রয়েছে। যেখানে হাই কোর্টের রায় আছে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ওইভাবে সংরক্ষিত থাকবে। আমরা হাই কোর্টের রায় কীভাবে লঙ্ঘন করব? কীভাবে হাই কোর্টের রায় বাদ দেব? সেটা তো আমরা করতে পারছি না। তবে আমি যেটা করে দিয়েছি, কোটা যেটাই থাকুক, কোটা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গায় খালি থাকবে সেখানে মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চালু আছে এবং সেটাই করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভিসির বাড়িতে যারা ভাঙচুর করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে— তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদের ছাড়া যায় না। জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করেছে। যেখানেই যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে, তারা যতই আন্দোলন করুক। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় চাকরি খালি আছে, যারা মেধাতালিকায় থাকছে, কেউই বাদ যাচ্ছে না। যারাই মেধাবী তারা কোনো না কোনোভাবে চাকরি পাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ একটু সুখের মুখ দেখেছে। কোনো অশুভ শক্তি যাতে জনগণের এই সুখটা কেড়ে না নিতে পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব। দেশে যেন আবারও মারামারি, খিস্তিখেউর, আগুন দিয়ে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার মতো পরিবেশ ফিরে না আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের নেতা বলেছেন ২ কোটি লোক অর্ধাহারে আছে, এটা ঠিক নয়। সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। এখন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের  চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে আমরা সব বক্স কালভার্ট ভেঙে ফেলে নিচে খাল এবং উপর দিয়ে এলিভেটেড রাস্তা করে দেব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করে বলেন, দেশবাসী যদি মনে করেন তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ভুল করেননি, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে— তাহলে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন।

সর্বশেষ খবর