শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

অনুমোদন পেতে যাচ্ছে আরও দশ ইকনোমিক জোন

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

অনুমোদন পেতে যাচ্ছে আরও দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর মধ্যে সরকারি ৪টি ও বেসরকারি ৬টি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন অথরিটির (বেজা) ৬ষ্ঠ সভায় এই জোনগুলো অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। অনুমোদনের জন্য বাছাই করা সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হচ্ছে— সীতাকুণ্ড ইকনোমিক জোন, চাঁদপুর ইকনোমিক জোন (মতলব উত্তর), চাঁদপুর ইকনোমিক জোন (হাইমচর) এবং নাটোর ইকনোমিক জোন। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হচ্ছে— হামিদ ইকনোমিক জোন (ময়মনসিংহ), ছাতক ইকনোমিক জোন (সুনামগঞ্জ), স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকনোমিক জোন (মুন্সীগঞ্জ), হোসেন্দি ইকনোমিক জোন (মুন্সীগঞ্জ), কাজী ফার্মস ইকনোমিক জোন (চট্টগ্রাম) এবং আনোয়ার ইকনোমিক জোন (মুন্সীগঞ্জ)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান       পবন চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব প্রস্তাব পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি ৮টি ও বেসরকারি ২০টিসহ মোট ২৮টি প্রস্তাবিত স্থান প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওই ২৮টি ইকনোমিক জোনের প্রস্তাব তোলা হলে দশটি জোন অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। প্রস্তাবিত সরকারি ইকনোমিক জোনগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কাজ শুরু হবে। নাটোর ইকনোমিক জোনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর বেসরকারি জোনগুলোর তথ্য সংগ্রহ প্রতিবেদন পাওয়ার পর শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।  বেজার কর্মকর্তারা জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২০টি সরকার মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২৬ হাজার ৭৮৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ১৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ড ইকনোমিক জোনের জন্য প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ এক হাজার ৩৫৮ একর। এর মধ্যে সরকারি জমি ৮৫৪ একর এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির পরিমাণ ১৮ একর। এ ছাড়া প্রস্তাবিত অঞ্চলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি রয়েছে প্রায় দেড় হাজার একর। এখান থেকে বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমি বাদ দিয়ে জোনটি করা হবে।  চাঁদপুর (মতলব) ইকনোমিক জোনের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪ হাজার একর জমির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাস জমির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার একর আর চর ভরাটের মাধ্যমে আরও এক হাজার একর জমি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মতলব উত্তরের নাছিরাকান্দি, উত্তর বোরোচর, নাপিতমারা, চর ইদ্রিস, চর ইলিয়ট এলাকা নিয়ে এ জোনটি গড়ে উঠবে। চাঁদপুর (হাইমচর) জোনটির জন্য প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ প্রায় এক হাজার একর। বেসরকারি অঞ্চলগুলোর মধ্যে হামিদ ইকনোমিক জোনের জন্য ১৫৩ একর, ছাতকের জন্য ১৩৮ একর, স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবালের জন্য ১৪০ একর হোসেন্দির জন্য ৭৫ একর, কাজী ফার্মসের জন্য ১৩০ একর এবং আনোয়ার ইকনোমিক জোনের জন্য ১১০ একর জমির প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর