সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

মডরিচ জিতলেন ‘গোল্ডেন বল’

আসিফ ইকবাল

গলায় যখন মেডেল পরছিলেন, তখন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা বুকে জড়িয়ে ধরেন লুকা মডরিচকে। কানে কানে কি যেন বললেনও। হয়তো সান্ত্বনা দিয়েছেন প্রিয় দলের অধিনায়ককে। রাষ্ট্রপ্রধানের সান্ত্বনায় কি আর মন ভোলে? মুচকি হাসি দিয়ে মঞ্চ ছাড়লেন ঠিকই, বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা এত কাছে এসেও ধরতে না পারার বেদনায় নীল হয়ে পড়েন মডরিচ। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও অবশ্য খালি হাতে ফেরেননি ক্রোয়াট বীর। এইডেন হ্যাজার্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে জিতেছেন ‘গোল্ডেন বল’। এটাই বিশ্বকাপে তার সান্ত্বনা। ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেছেন ছয় গোল করা ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কর্তোয়া এবং বিশ্বকাপের উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন ‘বিস্ময় বালক’ এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছেন মডরিচ। রিয়ালের পক্ষে ফাইনালে ১০ টুর্নামেন্টে কখনো হারেননি। ইতিহাসও তেমনই সাক্ষী ছিল মডরিচের। কিন্তু দিদিয়ের দেশমের জ্যামিতিক ফুটবলের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে ওঠেননি মডরিচরা। রূপকথা লেখার ফাইনাল হেরেছেন ৪-২ গোলে। বিশ্বসেরা হতে না পারলেও গোটা টুর্নামেন্টে ক্রোয়েশিয়ার ‘মিডফিল্ড জেনারেল’ খেলেছেন দারুণ ফুটবল। গোল্ডেন বল জেতার লড়াইয়ে তার সঙ্গে দৌড়ে ছিলেন এমবাপ্পে, হ্যাজার্ডরা। শেষ হাসিটি অবশ্য তিনিই হেসেছেন। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক কেইন। পানামার সঙ্গে হ্যাটট্রিক, মরক্কোর সঙ্গে ২ গোল এবং কলম্বিয়ার বিপক্ষে এক গোল মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা ৬টি। ৪টি করে গোল করেছেন লুকাকু, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডেনিস চেরিশভ, আঁতোয়ান গ্রিজম্যান ও এমবাপ্পে। ৩টি করে গোল করেন হ্যাজার্ড, আর্টেম ঝুইবা, মারিও মানজুকিচ, ইভান পেরিসিচ, ইয়েরি মিনা ও ডিয়াগো কস্তা।

মডরিচের পূর্বসূরি ডেভর সুকার ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ৬ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। সুকার এখন ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। ২০ বছর পর সোনালি রূপকথা লিখতে না পারলেও ক্রোয়েশিয়া উপহার দিল আরও এক তারকা ফুটবলার। যার ফুটবল সৃজনশীলতায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব।          

সর্বশেষ খবর