নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী মেয়র প্রার্থীরা। খুলনা, গাজীপুরে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেওয়ার পরও ভোট কারচুপি হয়েছে। তাই শুধু আশ্বাস নয়, নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণার বাস্তবায়ন চান সরকারবিরোধী মেয়র প্রার্থীরা। গতকাল গণসংযোগকালে এই আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করে ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় নগরীর পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান সরোয়ার। গণসংযোগকালে সরোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন খুলনা এবং গাজীপুরেও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও ভোটে কারচুপি হয়েছে। বরিশালেও যে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর কারচুপি হবে না তার নিশ্চয়তা চান সরোয়ার। শুধু আশ্বাস নয়, নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান তিনি। এছাড়া ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে গতকাল সকালে নগরীর সদর রোডে গণসংযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এ সময় অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তির জন্য ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তারা। এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর কাঠপট্টি এলাকায় গণসংযোগ করে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চান জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এ সময় আধুনিক নগরী গড়তে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। তাপস বলেন, জনগণের মধ্যে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় কাটেনি। ৩০ জুলাই জনগণ ভোট দেবে নাকি প্রশাসনের লোকেরা ভোট দেবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তিনিও সুষ্ঠু ভোটের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান। সোমবার বরিশালে প্রার্থীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় সিটিতে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। ওই সভায় পুলিশ কিংবা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্য অতিউৎসাহী হয়ে ভোটের পবিত্রতা নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বরিশালসহ ৩ সিটির ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হলে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না বলে বক্তব্যে বলেন মাহবুব তালুকদার। এদিকে বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটাররাও সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গতকাল দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাদিক আবদুল্লাহ কোনো এলাকায় গণসংযোগে না নামায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।