বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

নড়াইলে খালেদার জামিন নাকচ

নড়াইল প্রতিনিধি

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ১৭ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেন। 

এদিকে, গত ৫ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হলেও ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত। এ ছাড়া গত ১৬ এপ্রিল নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে পরবর্তী দিন ৮ মে শুনানির জন্য ধার্য করে আদালত। এরপর ৮ মে জামিন মঞ্জুর, নামঞ্জুর কোনোটাই হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলাটি ‘নট প্লেসড রিজেকটেড’ (উপস্থাপিত হয়নি) বলে খারিজ করে দেন। গত ২৮ মে আদালত বলে, মামলাটি ওই আদালতে (নিম্ন আদালত) শুনানি করে আসুন। এ প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৩০ মে নড়াইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য হয়। গত ৫ জুনের শুনানিতে আদালত ‘নট মেইনটেনেবল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন।  ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।

সর্বশেষ খবর